
পরপর তিনবার ছেলে সন্তান জন্ম দেওয়ায় এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে স্থানীয় একটি যৌনপল্লীতে রেখে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কলকাতায়।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আশা করেছিলেন যে এবার তাদের বধূ কন্যা সন্তান জন্ম দিবে। কন্যা সন্তান হলে লাভ আছে কারণ তখন তাকে পতিতাবৃত্তিতে লাগাতে পারবে। এতে পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন হবে। কিন্তু তাদের আশায় গুঁড়েবালি দিয়ে তৃতীয় বারও ছেলে সন্তানের জন্ম হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে যৌনপল্লীতে রেখে আসে।
এদিকে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই গৃহবধূকে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে পুলিশে দেওয়ার পর এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গৃহবধূ আরো জানান, তার শাশুড়ি এবং ননদসহ শ্বশুরবাড়ির অন্তত পাঁচ জন মহিলা যৌন পেশায় জড়িত। তবে বিয়ের আগ পর্যন্ত বিষয়টি স্বামী তার কাছে গোপন রেখেছিলেন। তাদের আদি বাড়ি মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায়। তবে অনেক বছর ধরে কলকাতাতেই থাকেন তারা।
তিনি জানান, পর পর পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে থাকায় শ্বশুর বাড়িতে তাকে নানা রকম নির্যাতন-লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। বছর খানেক আগে তৃতীয় বার পুত্র সন্তান হওয়ার পর এর মাত্রা আরো বেড়ে যায়। কয়েকদিন আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে জোর করে কলকাতার যৌনপল্লী সোনাগাছিতে রেখে আসে। সেখান থেকেই দুর্বার মহিলা সমিতি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকে উদ্ধার করে।