১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নৃশংস ভাবে খুন করা হল চার বছরের শিশুকন্যাকে

নৃশংস ভাবে খুন করা হল চার বছরের এক শিশুকন্যাকে। দু’দিন নিঁখোজ থাকার পর তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের পর দেখা গেল, হাতের দু’টি আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছে। উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে। নিউটাউন থানার মহিষগোঠ শিবতলা এলাকার এই ঘটনায় শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের দুই প্রতিবেশীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মহালয়ার দিন সকাল থেকে নিঁখোজ ছিল প্রীতি নস্কর (৪)। দু’দিন পর বুধবার সকালে তার নিজের কাকার বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি দেহ। প্রীতির বাবা রঞ্জিত নস্কর জানিয়েছেন, গত সোমবার সকাল প্রায় ১১টা থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গোটা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। এমনকী, আশপাশের বাড়িগুলিতেও মেয়ের খোঁজ করেন তাঁরা। রঞ্জিতবাবুর বাড়ির শ’খানেক মিটারের মধ্যেই তাঁর ভাই শঙ্করবাবুর বাড়ি। সেখানেও খোঁজ করা হয়। কিন্তু, কোথাওই খোঁজ মেলেনি প্রীতির। এর পর থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি মঙ্গলবার গোটা এলাকায় মাইক প্রচার করা হয় বলে জানান প্রীতির পিসেমশাই সুমন মান্না।

পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সকালে শঙ্করবাবুর বাড়িতে বসে সকলে মিলে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় একটা পচা গন্ধ নাকে আসে। তার পর সেই গন্ধ অনুসরণ করে সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেখা যায়, চিলেকোঠার ঘরে একটা বস্তা থেকেই তা আসছে। বস্তা খুলতেই বেরিয়ে আসে প্রীতির পচনশীল দেহ। চিলেকোঠার পাশ দিয়েই উঠে গিয়েছে একটি নারকেল গাছ। নস্কর পরিবারের দাবি, যাঁরা প্রীতিকে অপহরণ করেছিল, ওই নারকেল গাছ বেয়েই তারা বস্তাবন্দি দেহ রেখে গিয়েছে চিলেকোঠায়। পুলিশ যদিও সেই দাবি খতিয়ে দেখছে। কেননা, চার বছরের একটি শিশুর দেহ বস্তায় ভরে তা নিয়ে নারকেল গাছ বেয়ে ওঠা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবে, শঙ্করবাবুর বাড়িতে ওই বস্তাবন্দি দেহ যে হেতু পাওয়া গিয়েছে, সে কারণে তাঁর ভূমিকাকেও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

মেয়ের জ্যাঠা বিশ্বজিত্ নস্করের দাবি, যে দিন প্রীতি নিঁখোজ হয় সেই সন্ধ্যায় তিনি একটি ফোন পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে ফোন করে বলা হয়, কী রে বিশ্বজিত্ ভাইজি তো নিখোঁজ! এ বার কী করবি?’’ পুলিশ সেই ফোন কলটি খতিয়ে দেখছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হাবরার কোনও এলাকা থেকে ওই ফোনটি করা হয়েছিল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ