আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই ওপেনার লিন্ডলে সিমন্সকে হারায় চট্টগ্রাম। তবে আরেক ওপেনার আভিশকা ফারনান্ডো ও ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নেয় বিস্ফোরক ব্যাটং দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। সৌম্য সরকারের শিকার হওয়ার আগে ২৭ বলে ৪৮ রানের বড় ইনিংস খেলে যান তিনি।
এদিনও সফল ছিলেন ইমরুল। ৪১ বলে ৬২ রানের দারুণ ইনিংসে দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান তিনি। তবে ইমরুল ফিরে যাওয়ার পর ৩ রানে নাসির বিদায় নিলে রানের চাকা গতি হারায়। শেষ দিকে অবশ্য সেটিও পুশিয়ে নেন চাদউইক ওয়ালটন এবং নুরুল হাসান।
চট্টগ্রাম রের্কডের কাছাকাছি গিয়ে থামল ২৩৮ রানে। ২৭ বলে ৬ চার ও ছক্কায় ৭১ রান ওয়ালটনের। ১৫ বলে ২ চার-ছক্কায় ২৭ রান নুরুলের। ৩৪ বলের পঞ্চম উইকেট জুটিতে এসেছে ৯৯ রান। শেষ ৩ ওভারে এসেছে ৭২ রান।
বিপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ২৩৯ রানের।কিন্তু চট্টগ্রাম মাত্র ১ রানের জন্য এই রের্কড ছুঁইতে পারিনি।
২৩৯ রানে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ৭ উইকেট ২২২ রান তুলে ১৬ রানে হেরে যায়। মালান (৮৪) আর শানাকা (৩৭) ছাড়া আর কেউ বেশি দূর আগাতে পারিনি। শেষমেষ চট্টগ্রাম মেহেদি রানর জাদুকরী বোলিংয়ে ১৬ রানে জয় পেয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ২৩৮/৪ (সিমন্স ১০, ফার্নান্দো ৪৮, ইমরুল ৬২, ওয়ালটন ৭১*, নাসির ৩, সোহান ২৯*; মুজিব ৪-০-৩১-১, আল আমিন ২-০-২৭-০, সুমন ৩-০-২৫-০, আবু হায়দার ২-০-৩৮-০, মালান ২-০-২৫-০, সৌম্য ৩-০-৪৪-২, শানাকা ৪-০-৪৭-১)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ২২২/৭ (রাজাপাকসে ৬, সৌম্য ১৫, সাব্বির ৫, মালান ৮৪, ইয়াসির ২১, শানাকা ৩৭, মাহিদুল ১৩, সুমন ৮*, আবু হায়দার ২৮*; নাসুম ৩-০-৪০-০, রুবেল ৪-০-৩০-১, মেহেদি রানা ৪-১-২৮-৪, উইলিয়ামস ৪-০-৫১-১, মুক্তার ৪-০-৫৫-১, নাসির ১-০-১৬-০)
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: চাডউইক ওয়ালটন