‘পশু ব্যবসায়ীরা হাটে অসুস্থ ও রুগ্ন পশু আনলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’সোমবার রাজধানীর নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গরু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, নগরীর বিভিন্ন পশুরহাটে সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনাধীন মোবাইল কোর্ট দায়িত্ব পালন করবেন। মোবাইল কোর্টে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, পশু চিকিত্সক, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। কোন ব্যবসায়ী পশুরহাটে অসুস্থ ও রুগ্ন গরু আনলে তার বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারো আসন্ন ঈদুল আজহায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২ লাখ ৭৫ হাজার পশু কোরবানি হবে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, এসব এলাকায় প্রায় ২৫ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য হতে পারে। এসব বর্জ্য পরিস্কারের জন্য ঈদের দিন দুপুর থেকে ডিএসসিসি’র সাড়ে ১২ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী টানা কাজ করে যাবে। এ সময় ডিএসসিসি’র ৩৫০টি গাড়ি ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতিও বর্জ্য আপসারনের কাজে নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পশু কোরবানির জন্য ৬২৩টি নির্দিষ্ট স্থান থাকবে। তিনি এ সব নির্দিষ্ট স্থানে নগরবাসীকে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানান।