
প্রচুর মানুষ আছেন যারা কানের খইল বা ময়লা পরিস্কার করতে কটন বাড ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মেডিক্যালে দেখা গেছে এমন অনেক রোগী এসেছেন যারা কটন বাড ভিজিয়ে কান পরিষ্কার করতে গিয়ে বিপদে পরেছেন। কান পরিস্কার করতে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু পদার্থ আছে যা আপনার জন্য ক্ষতিকারক।যেমন-
- ভেজানো তুলোর পুঁটলি (কিউ-টিপস)
- চুল পিন
- সন্না
- কলম এবং পেন্সিল
- খড়
- কাগজ ক্লিপ
- খেলনা
যদিও এটি মাত্র একটি আংশিক তালিকা, কিন্তু এটা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে কানের ময়লা পরিস্কার করতে কোন কিছুই কানের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না।এতে চিরতরে কানের পর্দার বড় রকমের ক্ষতি হতে পারে।
কিছু কিছু মানুষের কানের খইল খুব ধ্রুত উৎপন্ন হয়। ফলে দেখা যায় তাঁরা মাঝে মাঝে ব্যথা অনুভব করেন। সে জন্য সহজ মাধ্যম হিসেবে তাঁরা কটন বাড ব্যবহার করেন কিন্তু কিছুদিন পরে শুরু হয় বিপত্তি। মনে রাখতে হবে কানের পর্দা খুব সংবেদনশীল। কটন বাড খুব দ্রুত কানের পর্দায় পৌঁছে যায় তাই এটির আলতো ছোঁয়া আপানার কানের পর্দা চিরতরে নষ্ট করে দিতে পারে। মাঝে মাঝে এটির ফলে কান থেকে গরম গরম হাওয়া বা পানি বের হয় কিন্তু ব্যথা সাময়িকভাবে চলে যায়। ভুলে গেলে চলবে না এটির ফলে সাময়িক শান্তি মিলছে কিন্তু পরবর্তীতে তা আপনার কানের চিরস্থায়ী বিনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তাহলে এটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় যে- আমারা কি আমাদের কান পরিস্কার করব? উত্তরটা একটু ভিভ্রান্তিকর- হ্যাঁ বা না দুটোয় গ্রহণযোগ্য। আমরা আমাদের কানের বাহিরের অংশ পানি, সাবান বা অন্য পদার্থ দিয়ে পরিস্কার করতে পারি কিন্তু ভেতরে? অধিকাংশ সময় দেখা যায় গোসল করার সময় আমাদের কান সামান্য হলেও পানি ঢুকে যেটিতে আমাদের কানের ময়লা পরিস্কার হয়ে যায় তাছাড়া কানের বাহিরের অংশে চুল বড় হয়ে গেলে তাঁর মাধ্যমেও কানের খইল বেরিয়ে আসে আবার রাতে ঘুমানোর সময় দেখা যায় কানের খইল আপনা আপনি পরে যায়। তাহলে বোঝা যায় যে কানের খইল পরিষ্কারের জন্য আমাদের কটন বাড ব্যবহার করার দরকার পরে না।
যাদের খুব সমস্যা হয় তাঁরা ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন, যিনি সামান্য পেরক্সসাইড মিস্ত্রিত পানি দিয়ে নিমিষেই তা বের করে আনতে পারেন। প্রক্রিয়াটি খুব সহজ এবং খুব কার্যকর।যদি সমস্যা এর বেশিহয় তবে ডাক্তার বলে দিবেন আপনার কি করতে হবে। খেয়াল রাখবেন কোন অবস্থায় কানের ভেতরে কোন কিছু প্রবেশ করাবেন না। প্রয়োজনে ডাক্তারের দ্বারস্থ হন।
– অনুবাদঃ সত্য শুভ