চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাই বটে। একাকীত্বে ভোগা মার্কিনি টিন এজারদের অনলাইনে আকৃষ্ট করতে এই পন্থাই নিয়েছে ঘাতক আইএস জঙ্গিরা। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ বছরের এক স্কুল শিক্ষিকাকে এভাবেই নিজেদের দলে টানতে গিয়েছিল একদল প্রশিক্ষিত আইএস সাইবার আর্মি।
ঠিক কী ঘটেছিল ওই যুবতীর সঙ্গে?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কাইপি, ফেসবুক, ট্যুইটারে ২৪ ঘণ্টা অনলাইন থাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের সাইবার আর্মি। যারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শুধু মার্কিনি যুবক-যুবতীদের জঙ্গি দলে টেনে আনতে। প্রত্যেকের জন্য নিয়োগ করা হয় একজন করে বিপরীত লিঙ্গের ‘অপারেশন ম্যানজার’। এই যুবতীর জন্য যেমন নিয়োগ করা হয়েছিল ফয়জল নামের একজন যুবককে। নিয়ম করে প্রত্যেকদিন ওই জঙ্গি চ্যাট করত অনলাইনে। পাঠাত ফুল-চকোলেট। পাশাপাশি বলে চলত কীভাবে সিরিয়া ও ইরাকে মুসলিমদের রক্ষা করে চলেছে আইএস।
ওই যুবতী ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কী হচ্ছে। হঠাৎই চ্যাটে বিপরীত প্রান্তে থাকা ওই ফয়জল তাঁকে বলে, স্থানীয় একটি চার্চে হামলা চালাতে হবে। চমকে ওঠেন অ্যালেক্সা(নাম পরিবর্তিত)। খবর দেন পুলিশে। তখনই ফাঁস হয়ে যায় সব কারচুপি। এভাবেই প্রতি বছর প্রায় ৪০০০ জন বিদেশি নাগরিক পাড়ি জমাচ্ছেন সিরিয়া ও ইরাকে। যাদের স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে প্রেমের, বিবাহের। অ্যালেক্সার মতো যারা একলা, তাদেরকেই টার্গেট করছে এই ঘাতক জঙ্গি গোষ্ঠী।
পুলিশে খবর দেওয়ার পরই অ্যালেক্সার অনলাইন অ্যাক্টিভিটির উপর নজরদারি শুরু হয়। আর তারপরেই বিলকুল গায়েব ‘ফয়জল’। তার টিকিটিও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মার্কিন পুলিশ সতর্কতা জারি করে বারবার আবেদন করছে, অনলাইনে সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তির সঙ্গে অডিও বা ভিডিও চ্যাট একেবারেই নয়। কিন্তু তাতে বিশেষ হেলদোল নেই সে দেশের যুব সমাজের। কারণটা তাদের একাকীত্ব।