চড়া দাম নেয়ার পাশাপাশি কালোবাজারির আশঙ্কা সত্ত্বেও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে দেশের উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের ৬৪টি রুটে আগামী ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি। নগরীর বি আর টি সি, পাহাড়তলি, কর্নেল হাট এবং এ কে খান এলাকা থেকে একযোগে এ টিকেট বিক্রি শুরু হবে। চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৫০ লাখ মানুষের নগরী চট্টগ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা কর্মসূত্রে চট্টগ্রাম এসেছেন দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে। বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে অধিকাংশ মানুষ ছুটে যায় গ্রামের বাড়িতে। এর মধ্যে অধিকাংশই বাসে যাতায়াত করেন। যার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। এসব ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়া নিশ্চিত করতে আগামী ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি। এ ব্যাপারে কাউন্টার ম্যানেজাররা বলেন, ‘৩ তারিখ থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে। টিকিট বিক্রি হবে ১২ জুলাই থেকে ঈদের আগের দিনগুলোর জন্য।’
অগ্রিম টিকেট বিক্রির নামে নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রাখা কিংবা কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ প্রতি বছরই থাকে। তবে এবার কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। কাউন্টার ম্যানেজাররা বলেন, ‘কালোবাজারিদের ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সোচ্চার আছি। টিকিট যেন কালোবাজারি না হয়- সে জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করবো।’
এদিকে, ঘরমুখো মানুষের রাস্তার ভোগান্তি কমাতে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাইওয়েতে যেনো ডাকাতি না হয়- সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিশেষ কিছু এলাকায় পুলিশের টহল থাকবে।’ দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী পরিবহন করার শতাধিক পরিবহন সংস্থা রয়েছে চট্টগ্রামে। আর এসব পরিবহনের বাসের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি।