আজ ১৬ জুন। ২০০১ সালে এই দিনে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের অফিসে জঙ্গিদের বর্বরোচিত বোমা হামলায় প্রাণ হারান ২০ জন। আর আহত হন শতাধিক।কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও দোষীদের এখনো বিচার না হওয়ায় হতাশ নিহতের স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে, চার্জশিট দেয়ায় আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
২০০১ সালের ১৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ বোমার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিস। প্রাণ হারান সাঈদুল হাসান বাপ্পি, আক্তার ও মশুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আহত হন তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অনেকে। অনেকে হয়ে যান পঙ্গু। কিন্তু নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১৩ সালে ২ মে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার এহসান উদ্দিন চৌধুরী।
বোমা হামলায় অভিযুক্ত ৬ আসামির মধ্য মোরসালীন ও মোত্তাকীন ভারতের একটি মামলায় সেদেশে কারাবন্দি রয়েছে। কারাগারে রয়েছে মুফতি হান্নান ও শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েলও।
এছাড়া অপর আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু জামিনে মুক্ত। পলাতক রয়েছে মামলার অপর আসামি ওবায়েদুল্লাহ।