[english_date]

১৪ জুলাই থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট

আগামী ১৪ জুলাই থেকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য লঞ্চের অগ্রিম টিকিট ও বিশেষ সার্ভিস চালু করা হবে। এছাড়া প্রথমবারের মত আরিচা ও শিমুলিয়া ঘাটে শুধুমাত্র যাত্রী পারাপারের জন্য রাখা হবে অতিরিক্ত ফেরি।
 পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় বড় বড় লঞ্চ ও ফেরিঘাটে ঈদের আগে ও পরে মোট দশদিন মনিটরিং করবে বিআইডাব্লিউটএর বিশেষ কমিটি। ঈদ উপলক্ষে এসব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা। চলছে লোহা ঝালাইয়ের কাজ। সারিয়ে নেয়া হচ্ছে ছোটখাটো ভাঙাচোরা আর দীর্ঘ নৌযাত্রার ক্ষতচিহ্ন। আবার কেউ নতুন রঙে সাজিয়ে নিচ্ছেন নৌযানগুলো। সদরঘাটেও দুমড়ানো লোহার প্লেট সরিয়ে পন্টুনগুলোতে বসানো হচ্ছে নতুন প্লেট। মেরামত করা হচ্ছে উপরের ছাউনি। এই প্রস্তুতিই বলে দেয় আসছে ঈদ।

ঈদে নৌপথে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের জন্য এভাবেই প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ১৪ জুলাই থেকেই শুরু হবে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। যাত্রীর চাপ সামলাতে চালু করা হবে বিশেষ সার্ভিস। বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘২৬ রমজানের পর আমরা লঞ্চের সংখ্যা বাড়াবো। যাত্রী ওভারলোড কমাতে ডাবল ট্রিপের ব্যবস্থা করবো।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ‘প্রায় ২০০টি জাহাজ দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে আগামী ১৪ তারিখ থেকে অগ্রিম টিকিট দিবো ও ডাবল ট্রিপ দেবো।

এদিকে, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষও বলছে, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা আর সুবিধার কথা মাথায় রেখে নেয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। শেষ মুহূর্তে যাতে যাত্রীর চাপ না বাড়ে সেজন্যে পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রত্যেকটি ঘাটে আমাদের কমিটি কাজ করবে। তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন তারা মাঠে থাকার জন্য। ওভারলোডিং করে কোন লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করতে পারবে না। চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ তৈরি আছে।’

প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় প্রতি ঈদেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে যাত্রা করেন নগরবাসী। তবে যেই প্রিয়জনের জন্য এত ঝুঁকি নেয়া তাদের কথা ভেবেই অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না চড়ার কর্তৃপক্ষের এই আহ্বানে কতটা সাড়া দেবেন নগরবাসী সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ