খাদ্যদ্রব্য পরিপাকের পর দেহে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ। যা রক্তে প্রবাহিত হয়। একসময় একসময় তা শরীরের ধ্বংস ডেকে আনে। কিন্তু দেহের অভ্যন্তরে অবস্থিত কিডনি প্রতিনিয়ত এই বর্জ্য পদার্থকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। তাতে আমরা সুস্থ থাকি। দেহকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে প্রতি মিনিটে ১৮০০ মি.লি রক্ত পরিশোধিত করা প্রয়োজন। আমাদের দেহের একমাত্র এই অঙ্গটি সে দায়িত্ব পালন করে। অথচ বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই এই ব্যপারে মোটেও সচেতন নন। কিছু খাদ্য ও নিয়ম কানুন মেনে চললে মূল্যবান কিডনিকে আমার সচল রাখতে পারি। তাতে আমাদের সুস্থ থাকাটাও নিশ্চিত হয়। তাই-
* প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করা।
* ভরপেট খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস ত্যাগ করে অল্প অল্প করে বার বার খাদ্য গ্রহণ।
* খাবারে লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার যেমন- বার্লি, ওটমিল, ম্যাকারনি, স্প্যাঘেটি, আঁশযুক্ত সিরিয়াল, শাকসবজি, ইত্যাদি গ্রহণ করা।
* অত্যাধিক জমাট চর্বি অর্থাৎ ঘি, মাখন বর্জন করা।
* এন্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার ফলমূল, ফলের জুস এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য মাছ বা মাংস, ডাল ও ডাল জাত খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি গ্রহণ করা।
* ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা করা।
* উচ্চরক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়া।
* সপ্তাহে অন্তত ১ দিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করা।
* দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে না রাখা।
* দাঁড়ানোর সময় দুই পায়ের উপর সমান ভর দিয়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস করা।
এই সহজ অভ্যাস গুলো আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে দারুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তাই সুস্থ থাকতে আজ থেকেই শুরু করুন।