[english_date]

সুনামগঞ্জ -কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধাতে বন্যার আশঙ্কা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত ও সুনামগঞ্জের বেশকিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধায় নদনদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে একদিকে যেমন জনজীবন বিপর্যস্ত তেমনি কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

চারদিনের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ ১৬টি নদনদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চিলমারী পয়েন্টে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টির কারণে দ্বীপচর, নদী তীরবর্তী চরগ্রাম এবং নিম্নাঞ্চলের অর্ধশতাধিক গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এ সময় ধরলা ফেরিঘাট পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

এদিকে, গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট নদীর পানিও অনেক বেড়েছে। ফলে বন্যার আশঙ্কায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার চর, নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, ‘এ অবস্থায় পানি বাড়তে থাকলে বাড়ি-ঘরে পানি উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনই বাড়ির আশেপাশে ভাঙতে শুরু করেছে।’

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘উজানের ঢলে যে হারে পানি বাড়ছে, এতে এ মাসেই বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এছাড়া, টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এরইমধ্যে জেলার নদী তীরবর্তী ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ