দলীয় প্রভাবসহ নানা সমীকরণের কথাও উঠে আসলেও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয়ভাবেই হবে। আর এতে মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সংশোধন আইন একযোগে অনুমোদন করা হয়। এসব আইন হচ্ছে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন-২০১৫, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন ২০১৫ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন আইন, ২০১৫।
উন্নত গণতান্ত্রিক দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো দলীয় প্রতীকে করার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার বিষয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোরও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করার উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিএনপি বলছে, এভাবে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনের ওপর ক্ষমতাসীনদের প্রভাব আরো বাড়বে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করবে। যাতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা মাঠেই দাঁড়াতে পারবে না। এছাড়াও স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও বিএনপি মনে করে। আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে স্থানীয় পর্যায়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার লক্ষ্যে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
