সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ‘মা’ ইলিশ নিধন অব্যাহত: প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযানের অভিযোগ
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালি নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ডিমওয়ালা ‘মা’ ইলিশ নিধন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলার বড়ইয়া ও মঠবাড়ী ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক জেলেরা নিয়মিত দিনে ও রাতের আঁধারে বিষখালি নদীতে জাল ফেলে ‘মা’ ইলিশ নির্বিচারে নিধন করে চলেছে। মৎস্য অফিস ও পুলিশ প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে জেলেরা প্রজনন মৌসুমে এ ‘মা’ ইলিশ নিধন করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেলেদের মাছ ধরার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ভাবে সহায়তা করছেন স্থানীয় দায়ীত্বপ্রাপ্ত চৌকিদার আলমগীর হোসেন। ‘মা’ ইলিশ নিধন রোধে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার বিষখালী নদীর পাড়ে গিয়ে জেলেদের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডিমওয়ালা মাছ না ধরার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু জেলেরা তার কথার কোন তোয়াক্কা না করে দিনে ও রাতে ডিমওয়ালা ‘মা’ ইলিশ নিয়মিত নিধন করে চলেছে। উপজেলা মৎস্য অফিস ও পুলিশ প্রশাসন বুধবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেন এবং সুমন নামে এক জেলেকে ডিমওয়ালা মাছ ধরার অপরাধে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। ৩০হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করেন এবং জেলেকে জরিমানা করেন সত্য কিন্তু ঐ ৩০হাজার মিটার কারেন্ট জালের সাথে একটি মাছও কি উদ্ধার হয়নি ? এ প্রশ্ন এখন রাজাপুরের সচেতন মহলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতি কেজি বড় ইলিশ ৫শত টাকা ও মাঝারী ইলিশের কেজি ৩শত টাকা করে আলমগীর চৌকিদারের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০মন ‘মা’ ইলিশ নিধন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। রাজাপুর উপজেলা মৎস্য অফিস ও পুলিশ প্রশাসনের ইলিশ নিধন রোধে অভিযান লোক দেখানো বলেও এলাকাবাসী জানান।
মিজানুর রহমান পনা, আর্থনিউজ২৪,