![](https://earthnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সরকারি প্রাথমিক স্কুলের আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা করা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ওই তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত ২৭ জন শিক্ষক নেতার নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই তাদের নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি হবে।
জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা করতে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। সে নির্দেশনার আলোকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের আন্দোলন পরিস্থিতি নিয়ে অধিদফতরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। ওই নির্দেশনা জারির পরপরই প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন এবং সহকারী শিক্ষকদের একাংশ আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে প্রাথমিকের শিক্ষকরা এভাবে আন্দোলন করতে পারেন না। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তৈরি করেছেন। সে তালিকা ইতিমধ্যে আমাদের কাছে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যথাসময়ে নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি প্রস্তুত করেছি। খুব শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী শিক্ষক ফেডারেশনের ৬ দফা দাবি হচ্ছে অষ্টম বেতন কাঠামোতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্নির্ধারণ, সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে নিয়োগ দিয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তন করে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ। এছাড়াও জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা। অন্যদিকে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা গেজেটেড পদমর্যাদা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করেন।