ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর সামনে রেখে আবারও আলোচিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রানজিট সুবিধার বিষয়টি। তাই, সামনে আসছে বন্দরের সক্ষমতার বিষয়টিও।
কর্মকর্তারা বলছেন, এখন যে অবকাঠামো রয়েছে তাতে ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্টের পণ্য হ্যান্ডলিং করা কঠিন হবেনা। তবে, এ সুবিধা দেয়া আগে বন্দর ঘিরে কিছু জরুরি উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভৌগলিক সুবিধার কারণে অনেকদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশগুলো।
তাতে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত। কেননা, দেশটির সাতটি রাজ্যে পন্য পরিবহনে সময় ও খরচ বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকে সামনে রেখে তাই আবারও আলোচনায় এ বন্দর।
এখন বছরে গড়ে ১৫ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে চট্টগ্রাম। দিনে দিনে বাড়ছে কর্মপরিধি; বাড়ছে সক্ষমতাও। তারপরও প্রশ্ন উঠেছে, ভারতকে সুবিধা দিতে কতটা প্রস্তুত এ বন্দর?
তবে বন্দরের সাবেক এক নীতি নির্ধারকের মতে, সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠান আর বিষয়ের ওপর বন্দরের সক্ষমতা নির্ভর করে। তাই গুরুত্ব দিতে হবে সেসবের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে।
ব্যবসায়ীদের কারো কারো মতে, এক্ষেত্রে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হলে এ অঞ্চলের বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।
বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দেয়া হলে তাতে অভ্যন্তরীণ আমদানি-রফতানি সেবা যেন বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়টির দিকেও নজর দিতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।