
মার্স আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭০০ স্কুল বন্ধ
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রম (মার্স) আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাড়ে সাতশ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এই সংক্রমণকে ‘মহামারী’ বলে সংজ্ঞায়িত করেছে।
প্রাণঘাতী মার্স ভাইরাসে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এছাড়া ৩৫ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে মার্সের প্রাদুর্ভাবে সম্ভাব্য প্রাণহানির কথা মাথায় রেখে সাত শতাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।
এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, একটি হাসপাতালে মার্স আক্রান্ত অন্য এক রোগীর থেকে ভাইরাসটি সংক্রামিত হলে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মার্সে আক্রান্ত এক ব্যক্তির গল্ফ খেলা এবং অন্য জনের চীনে সফর—দক্ষিণ কোরিয়ার এমন উদাসীনতা নিয়ে এরই মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
দেশটির কর্মকর্তাদের সূত্রমতে, মার্স আক্রান্ত সন্দেহে অন্তত ১৬০০ মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েঠে। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের ভূগোলে এটাই মার্সের সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাবের চিত্র। সৌদি আরবে ২০১২ সালে এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর হতে পারে। এছাড়া শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা এবং নিউমোনিয়া ও কিডনি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাইরাসটির নাম এসেছে উৎপত্তিভূমি ও সৃষ্ট সমস্যার নামে। মার্সের (এমইআরএস) পুরো নাম মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম। ইউরোপীয় রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলছে, বিশ্বব্যাপী অন্তত এক হাজার ১৬৭ জন মানুষের মার্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে, মার্স ভাইরাসে মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ২৭ ভাগ।