ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস এর ‘গ্লোবাল পিস ইনডেক্স’ (জিপিআই) অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। এ ছাড়া বিশ্বের ১৬২টি দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে ৮৪ তম স্থানে থেকে ইতিবাচক অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
সহিংসতার মাত্রা, অভ্যন্তরীণ ও বহির্মুখী সহিংসতা ও সামরিক শাসনের মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করে চলতি সপ্তাহে বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর সূচক প্রকাশ করেছে অলাভজনক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানটি। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ভুটান ও নেপালের পরে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে সূচকের শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশ রয়েছে ইউরোপের। এর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ডেনমার্ক ও তৃতীয় অবস্থানে অস্ট্রিয়া রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে ইউরোপ। কারণ এখানে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সহিংসতা কম। তবে ইউক্রেন সংকটের কারণে শান্তিসূচকে রাশিয়া ও ইউরেশিয়া পিছিয়েছে।
অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৯৪ তম। সামরিকীকরণ, নরহত্যা ও সহিংসতার ঝুঁকির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পেছনের দিকে।
সূচকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের খরচের হিসেবে ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১৫৭ তম অবস্থানে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সহিংসতার সূচকে বাংলাদেশের স্কোর চারের মধ্যে ১ দশমিক ৫৭। পাকিস্তানের স্কোর ৩ দশমিক ৩৮। সামাজিক নিরাপত্তার ডোমেইনে বাংলাদেশের স্কোর পাঁচের মধ্যে ২ দশমিক ৬৩। সামরিকীকরণ ডোমেইনে বাংলাদেশের স্কোর ১ দশমিক ২৩। স্কোর যত কম হয়, অবস্থান তত ভালো।
কম শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়েছে প্রথমে সিরিয়া। এরপরই রয়েছে ইরাক ও আফগানিস্তান।