আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পাঁচটির বেশি বাজার মনিটরিং দল গঠন করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকা এসব দল ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিংয়ের নামে ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান ব্যবসায়ী নেতাদের।
রমজান আসলেই নানা অজুহাতে চলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা। কিন্তু চলতি বছর ভোগ্যপণ্যর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
এ অবস্থায় রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও যাতে কেউ কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য রমজানের আগেই নগরীর বাজারগুলোতে তদারকি করবে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের আমদানি রফতানির ৮০ ভাগ চট্টগ্রাম দিয়ে হয়। চট্টগ্রামে যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাহলে সারা বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। চট্টগ্রামের চাকতাই, খাতুনগঞ্জ এই এলাকাগুলো ব্যবসার মূল ভিত্তি। সেখানকার ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছে যে এবছর কোন জিনিসের ঘাটতি নেই এবং দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক্ষেত্রে মনিটরিংয়ের সময় যাতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়রানি শিকার না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে প্রশাসনকে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, ‘সরকার মনিটরিং করবে যেন কোন ব্যবসায়ী হয়রানী না হয়। এটা সরকারকে নজর রাখতে হবে এবং জেলা প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।’ তবে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন, ক্যাব এর কর্মকর্তাদের দাবি, শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখা দরকার। চট্টগ্রাম ক্যাব সভাপতি এম নাজের হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের আওতায় বাজার মনিটরিং নিয়মিত হওয়া উচিত।’ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ভোগ্য পণ্যের দুটি পাইকারি বাজারসহ ছোটবড় ১৭টি বাজার রয়েছে।
