সমাজে ফরসা বর্ণের খুব কদর । বিয়ের পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপনের দিকে নজর রাখলেই বুঝবেন চাহিদাটা ঠিক কীরকম । ফরসা না হলে মেয়েদের বিয়েই হতে চায় না । এদিকে ভারতের সর্বত্র ফরসা বর্ণের মানুষ পাওয়া কঠিন । উত্তরে আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষ ফরসা । পূর্ব ও পশ্চিমের মানুষ কেউ ফরসা, কেউ শ্যামলা । দক্ষিণে ৯০ ভাগ মানুষই কৃষ্ণ বর্ণের । মোদ্দা কথা হল, বেশিরভাগ মানুষই শ্যামলা ঘেঁষা । তাই চেহারার চাকচিক্য বাড়াতে ফরসা হওয়াকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় । ফরসাকেই সুন্দরের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। ভারতের মতো দেশগুলোয় ফরসা হওয়ার আড়ম্বরও চোখে পড়ার মতো । এই ব্যাপারটার ফায়দা নিয়ে ফেয়ারনেস ক্রিমের হেব্বি চল শুরু করেছে ক্রিম কম্পানিগুলি । তবে যে কোনও ফেয়ারনেস ক্রিম মেখে নিলেই হল না । ত্বকের গুরুতর ক্ষতি করে দিতে পারে ফেয়ারনেস ক্রিম । অনেকেই ভুল ফেয়ারনেস ক্রিম কিনে ভুল করেছেন । ক্রিমের উপকরণের মধ্যে কী কী কেমিক্যাল থাকলে তবেই সেটি ব্যবহারের যোগ্য হবে, জেনে নেওয়া যাক ।
- ফলের নির্যাস, আখ ও বাটারমিল্ক দিয়ে তৈরি হয় আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড । ত্বকের একেবারে উপরের স্তরটিকে হালকা করে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে অ্যাসিডটি । ত্বকে জেল্লা এনে দেয় । তাই ফরসা হওয়ার ক্রিমে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকা খুব জরুরি ।
- ফেয়ারনেস ক্রিমের উপকরণে যেন রেটিনল, রেটিন্যালডিহাইড, রেটিনিল প্যালমিটেট থাকে । কেমিক্যালগুলি ত্বকে জৌলুস আনে । কোলাজেন সংশ্লেষে সাহায্য করে ।
Vitamin C না থাকলে সেই ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করবেন না । Vitamin C দারুণ ভালো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । সূর্যে প্রখর রোদ থেকে ত্বককে বাঁচায় Vitamin C ।