২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল নম্বর প্লেটবিহীন কোনো পরিবহন রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। কিছুদিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তরগুলোর সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এছা অতিরিক্ত ভাড়া প্রতিরোধে চালক-মালিক উভয়কে শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেন মন্ত্রী। পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ সময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে আগে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। এখন থেকে মালিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পেছনে মালিকদের দায় বেশি।
তিনি বলেন, আমি এই সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিচ্ছি, আর যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
সভায় মন্ত্রী স্বীকার করেন যে, ঢাকাসহ সারা দেশে ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিআরটিএ যেসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দেয় সেগুলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ও আরএফআইডি ট্যাগ সংগ্রহ করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি ২০১৬ হতে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট (রেট্রো-রিফ্লেকটিভ নাম্বারপ্লেট) এবং আরএফআইডি ট্যাগ ছাড়া সারাদেশের কোথাও কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। আমরা আজই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদরে বলেন, আমরা এখন দু’টি প্রাধিকার চিহ্নিত করেছি। একটি হচ্ছে কোয়ালিটি ওয়ার্ক নিশ্চিত করা। আর অপরটি নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা। আপনারা দেখেছেন, অনেক ক্ষেত্রে মেরামত বা সংস্কারকাজের গুণগত মান বজায় রাখা হচ্ছে না। প্রায়শ কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এ চুক্তির মাধ্যমে কাজের গুণগত মানও বিবেচনায় আনা হবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছি। কোনো কর্মকর্তা, প্রকৌশলী কিংবা ঠিকাদার ইচ্ছাকৃত গাফিলতি করলে তা সিরিয়াসলি দেখা হবে। ইতোমধ্যে নানান অজুহাতে কাজে দেরি করার জন্য যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বা কর্ম এলাকার প্রকৌশলীরাও এ থেকে ছাড় পাবেন না।
মন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নে অতীতের শম্বুক গতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে। পরপর দু’বছর শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে চমক সৃষ্টি করেছে।
তিনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০১৩ মেয়াদে ১২৬টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছিল। সরকারের বর্তমান মেয়াদের প্রথম অর্থবছরে ৪৫টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৪০টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।