ইরানের সঙ্গে বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর পাঁচটি দেশের চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানাল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা খসড়া প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে। এ পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে ইরানের সঙ্গে সমঝোতাকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হল এবং তেহরানের ওপর থেকে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পথ পরিষ্কার হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে পক্ষে ভোট দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সবাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছে, বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ভিয়েনায় সই হওয়া সমঝোতার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে, এ প্রস্তাবে একটি বিতর্কিত অপশন রাখা হয়েছে। ইরান যদি সমঝোতা বাস্তবায়নে সহযোগিতা না করে তাহলে আবার তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হবে। প্রস্তাবের এ অংশে বলা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের যেকোনো একটি রাষ্ট্রও যদি অভিযোগ করে যে, ইরান সমঝোতা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে না তাহলে একটি যৌথ কমিশনে তা তোলা হবে এবং কমিশন সে অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখবে। এ কমিশন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে আমেরিকা অথবা ইরান উপদেষ্টা বোর্ডে তা তুলতে পারবে। সেখানেও সময় থাকবে ১৫ দিন এবং এ বোর্ড বাধ্যতামূলক নয় এমন মতামত দেবে।
পরে পাঁচদিনের মধ্যে উপদেষ্টা বোর্ডের মতামত পর্যালোচনা করে দেখবে যৌথ কমিশন। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে মোট ৩৫ দিন সময় থাকবে। এর মধ্যে সমাধান না হলে ইরানের ওপর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পুরনো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হবে। একমাত্র নিরাপত্তা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে ছাড়া এ প্রক্রিয়া থামানোর কোনও উপায় থাকবে না। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের যেকোনো এক সদস্য যদি কোনও অভিযোগ তোলে তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাশ হবে। এর বিরুদ্ধে কোনও ভেটো ক্ষমতা কার্যকর থাকবে না।