দেশের কারাগারগুলোর আসামি ধারণক্ষমতা ৪৬ হাজারের ওপরে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘৮৮ হাজারের বেশি কারাবন্দি রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক কারাবন্দির জন্য সরকার শুধু নতুন কারাগার নির্মাণই করছে না, তাদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। যেন তারা বের হয়ে আর অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে।’ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের জোগান, সরবরাহ ও ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করে মাদক একেবারে নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো বলে আশা করছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশ সত্যিই বদলে গেছে। এটা এমনি এমনি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, সাহসী সৎ নেতৃত্ব।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সরকার সফল হয়েছে। দেশের মানুষকে একত্রিত করে জঙ্গি দমনে সফলতা এসেছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এই তিন মেয়াদে পুলিশের জনবল ও সক্ষমতা বাড়িয়েছেন। পুলিশের যখন যেটা প্রয়োজন, তিনি সেটাই দিয়েছেন। এখন ‘৯৯৯’ নম্বরে কল দিলেই নানা রকম সেবা পাচ্ছে মানুষ। যার যে রকম সেবা দরকার, সেই সেবা তার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।’
ইকনোমিস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা ও বহুদলীয় পরিস্থিতি ভালো। তাই দেশ এগিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন পত্রিকা খুললে দেখা যায়, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। কিন্তু গত ২২ জানুয়ারি ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট তাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকনোমিস্ট ইন্টালিজেন্স পরিচালিত জরিপে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকের ফল প্রকাশ করে। ওই জরিপে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়েছে।’
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে লাথি মেরে সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে। এটা রাজনীতির ভাষা নয়, এটা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তিনি তাদের পিছু ধরেছেন যারা মানুষ হত্যা করেছে, পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে।’