মিয়ানমারে আটকের আট দিন পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাক টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট মানুষ আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছিলেন।
দেশের মাটিতে নেমেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন নায়েক রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘(ঘটনার দিন) সকাল বেলা যখন নৌকা চেক করি, এ সময় মিয়ানমার থেকে ওরা এসে আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। আমরাও সাথে সাথে প্রতিউত্তর দেই। এ সময় ধস্তাধস্তি হয়।’
কথাগুলো বলার সময় নায়েক রাজ্জাক বিজিবির পোশাকে ছিলেন। গালে দাড়ি। আর নাকে ক্ষতের মতো চিহ্ন। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে রাজ্জাক বলেন, ‘ধস্তাধস্তির কারণে এ রকম হয়েছে।’
এর বাইরে আর কিছু বলেননি নায়েক আবদুর রাজ্জাক। তবে তাঁর পাশেই ছিলেন ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের কথা বলেছে। আমরা আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। অবশেষে রাজ্জাককে আমরা তার সঙ্গে যা ছিল তা নিয়ে তাকে ফেরত নিয়ে এসেছি। সে সুস্থ আছে। চিকিৎসক দিয়ে তাকে পরীক্ষা করানো হয়েছে- সে সুস্থ আছে।’
এদিকে আজ বিজিবির কক্সবাজারের সেক্টর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুন নাফ নদীতে টহলরত অবস্থায় বিজিপি (মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ) কর্তৃক অপহৃত ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্য নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাককে তাঁর ব্যক্তিগত অস্ত্র (এসএমজি), ম্যাগাজিন ও গোলাবারুদসহ ফেরত আনা হয়। উক্ত পতাকা বৈঠকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অপহৃত নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাককে বিজিপি থেকে ফেরত গ্রহণের আগে চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ওই পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ এবং মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল থি হান।