দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজের পরিধি বাড়াতে নতুন সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সভায়। প্রস্তাবনায় রয়েছে ২ হাজার ১৯৬ জন লোকবল বাড়ানোর সুপারিশ। প্রস্তাবনাটি পাশ হলে সারা দেশে ৬৬টি কার্যালয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে পদের সংখ্যা। তবে দুর্নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু কাঠামো পরিবর্তন নয়, দক্ষ জনবল সৃষ্টি না করা গেলে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করা নিশ্চিত না করা গেলে ভেস্তে যাবে এই উদ্যোগ।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে’র বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ৬টি বিভাগীয় কার্যালয় এবং ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে ৬৪টি জেলা কার্যক্রম। তবে দুদকের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে- দাবি করে দুদকের কার্যক্রম আরও বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে নতুন সাংগঠনিক প্রস্তাব কাঠামো অনুমোদন করেছে দুদক। এতে ৬৪ জেলা এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহানগরকে আলাদা করে ৬৬ অঞ্চলে বিভক্ত হবে। বাড়বে পদের সংখ্যাও। এছাড়া ২ হাজার ১শ’ ৯৬ জন লোকবল বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে নতুন সাংগঠনিক কাঠামোতে। শিগগিরই এই প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সভায় বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘জেলাগুলোকে আমরা সবসময় কাভারেজ দিতে পারছি না, তাতে করে আমাদের তদন্তে যেমন সমস্যা হচ্ছে, একইভাবে সাধারণ মানুষ, যারা অভিযোগ জানাতে চান- তাদের জন্যও সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়টি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হচ্ছে। তারা বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
এদিকে দুদকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে লোকবল বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনবল সৃষ্টি করার উপর জোর দিলেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘শুধু সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে গুণগত মান, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইতিমধ্যে যারা প্রতিষ্ঠানটিতে আছেন, তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও সততা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে।’ এছাড়া দুদকের স্বাধীনভাবে কাজ করা নিশ্চিত এবং বিচারাধীন মামলার আইনি সমস্যা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর না করলে ভেস্তে যেতে পারে মূল উদ্দেশ্য এমনটাই মনে করছেন এই বিশ্লেষক।