[english_date]

দুই যুগেও হয়নি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান

দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ঝুলে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন সমস্যার সমাধান আজও হয়নি। রোহিঙ্গারা চায় সম্মানজনকভাবে পাঠানো হলে তারা দেশে ফিরে যাবে। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা দরকার। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াতেই আটকে আছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে নানা কারণে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়টি ঝুলে আছে।

সবশেষ  ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় দু’মাসের মধ্যে দুই হাজার ৪’শ ১৫ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নেবে।
কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এদিকে রেজিস্টার্ড ও আন-রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গারা বলছে, সম্মানজনক প্রত্যাবাসন হলে তারা স্বদেশে ফিরে যাবে।এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নানা সামাজিক সঙ্কট  সৃষ্টি করছেন দেশে। আর আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর জানালেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ মনোভাব পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরি।

তিনি বলেন, ‘মায়ানমার সরকারতো স্বীকারই করছে না বাংলাদেশে যেই রোহিঙ্গারা আছেন তারা তাদের নাগরিক। কাজেই যতদিন পর্যন্ত তাদের এখানে গণতান্ত্রিক চর্চা তৈরি না হবে এবং তারা যে তাদেরই নাগরিক, এই স্বীকৃতিটুকু না আসবে, ততদিন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন হবে না’। অন্যদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী মনে করনে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকাররে ওপর চাপ সৃষ্টি করা দরকার।

তিনি বলেন, ‘শরণার্থী যারা আছে তাদের সন্তান এখানে জন্মাচ্ছে। দিন দিন আগত শরণার্থীর চেয়ে এখানে মোট শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। আমি মনে করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে আরও প্রেশার ক্রিয়েট করা দরকার’। ইউএনএইচসিআর’এর তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজারের ২টি শরণার্থী শিবিরে নিবন্ধিত ৩৩ হাজারসহ দুই লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ