টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ আকার নিল দক্ষিনবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি৷ পাশাপাশি ব্যারেজগুলি থেকে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জলস্থর বেড়েছে আরও কয়েকগুন৷ নবান্ন থেকেও দক্ষিনবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে দুর্গত এলাকায় ত্রান পৌঁচ্ছে দিতে৷
দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে বর্ধমান, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায়৷ রবিবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় নতুন করে জল বেড়েছে গলসি, খন্ডঘোষ, রায়না, জামালপুর ব্লকে৷ এছাড়াও পূর্বস্থলিতে জলস্থর বাড়ায় দূর্গতদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ জেলার ভাগীরথী ও অজয় নদীর জলস্থর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর৷ এছাড়া বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, দুই ২৪ পরগনা জেলারও৷ উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর, বনগাঁ, বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়৷ উত্তর ২৪ পরগনার জেলার জেলাশাসকের তরফে বন্যার মোকাবিলায় ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার ও ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে বৃষ্টি কমায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে৷ জলস্থর কমেছে ঘাটাল, গড়বেতা, কেশপুর ব্লকের৷ তবে টানা বৃষ্টিতে ও দামোদরের জলে হাওড়ার আমতা এক নম্বর ব্লকের অন্তত ২০টি গ্রাম জলমগ্ন। নবান্নের তরফেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দক্ষিন বঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
আবহাওয়া দফতরের তরফেও এখনও আশার বাণী শোনানো হয়নি৷ আগামী ৪৮ দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রের খবর৷ তাই বন্য পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ারই আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন৷