
গরম পানিতে টি-ব্যাগটি ভিজিয়ে নেয়ার পর কোনো সবাই ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। কিন্তু ভাবতেই পারবেন না এই ব্যবহৃত টি-ব্যাগ দিয়ে কী অসাধারণ কাজ হয়! কিন্তু এর বিভিন্ন ব্যবহার পড়ুন। টি-ব্যাগটি ছুঁড়ে ফেলার আগে অন্তত একবার ভাবতে বাধ্য হবেন।
মুখের ঘা: মুখে সাদা এক ধরনের ঘা হয়। এটা সাধারণত অ্যালার্জি বা পুষ্টির অভাবে হয়। টি-ব্যাগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধাণ সম্ভব। চা’র মধ্যে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড যা রক্তনালিকার সঙ্কোচক এবং প্রদাহ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
কালশিরে দাগ দূর করা ও রক্তপাত বন্ধ করতে: টি-ব্যাগের ট্যানিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন ছোটখাট কাটাছেড়া এবং আঘাতে সাড়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে: নানা কারণেই চোখের নিচে কালোদাগ পড়ে। এটি চোখের নিচের ত্বক বিবর্ণ হলে অথবা রক্ত সরবরাহ হঠাৎ করে বেড়ে গেলে এমন দাগ দেখা যায়। এমন হলে টেবিলে পেছন দিকে হেলে বসে পড়ুন। এবার টি-ব্যাগ ভিজিয়ে চোখের উপর কয়েক মিনিট রাখুন।
রোদে পোড়া সারাতে: ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর হবে নিমেষেই। টি-ব্যাগ থেকে কিছু চা বের করে পানিতে ভিজিয়ে হালকা করে পোড়া অংশে ঘষে দিন।
রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করতে: দুর্গন্ধ দূর করতে টি-ব্যাগ খুব কাজ দেয়। যেকোনো ধরনের দুর্গন্ধ শোষণ করতে পারে এটি। রেফ্রিজারেটরে গন্ধ হলে ব্যবহৃত টি-ব্যাগ রেখে দিন। আর ফ্রিজের অনাকাঙ্ক্ষিত আর্দ্রতা দূর করতে ব্যবহার করুন একটি শুকনো টি-ব্যাগ।
ছাদের বাগান পরিচর্যা: গাছের পুষ্টি জোগান দিতেও ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ। চায়ের ট্যানিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পলিফেনল গাছের দ্রুত বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
বাসার পরিষ্কার হিসেবে: তেল চর্বি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন চা। মুখ দেখার আয়না, টেবিল, ফার্নিচার এমনকি আপনার মুখ থেকে তেলতেলে ভাব দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ।
থালা বাসনের জং প্রতিরোধে: চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন আপনার ধাতব বাসনকোসনে মরিচা ধরা প্রতিরোধ করবে। এই রাসায়নিকটি ধাতুর অক্সাইড তৈরি হওয়া বিলম্বিত করে।
কাঠের আসবাবপত্রের আঁচড় দূর করতে: চাকে বলা হয় প্রাকৃতিক রঙ। কাঠের আসবাবপত্রের গায়ে আঁচড় লাগলে একটি টি-ব্যাগ থেকে চা ঘষে দিন দাগ মিলিয়ে যাবে। এই কাজটি করতে পারেন চুলের যত্নে। শ্যাম্পু করার পর চায়ের পেস্ট মাখলে চুলের অনাকাঙ্ক্ষিত রঙ, আর্দ্রতা দূর হবে একই সঙ্গে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া রোধ হবে।
কম্পোস্টকে আরো সমৃদ্ধ করুন: চায়ের পলিফেনল এবং ফাইটোকেমিক্যাল দারুণ কম্পোস্ট হিসেবে কাজ করে। চা গাছের চারার দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মাংস ম্যারিনেট করতে: মাংস ম্যারিনেট করতে অনেক সময় লাগে। এ কাজটি চা দিয়েও করতে পারেন। চার মধ্যে থাকা ট্যানিন মাংসপেশীগুলো ছিঁড়ে ফেলে ফলে যেকোনো শক্ত মাংস সহজে কাটা যায়, দ্রুত ম্যারিনেটও হয়।