৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম ও ভর্তি পরীক্ষা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে বটতলায় এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই হুঁশিয়ারি প্রদান করেন তিনি।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের জন্ম হয়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেবার জন্য। আমরা ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করতে চাই না। তাদের ক্ষতি হোক আমরা সেটাও চাই না। তবে আমাদের দাবি না মানা হলে সব কিছুই কর্মসূচির আওতায় আসতে পারে। আমাদের যদি বাধ্য করা হয়, আমরা সব কিছু করবো। কিছুই বাদ দেবো না।
কোন গোষ্ঠি বা সরকার বা কেউ যদি তালবাহানার মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে শিক্ষকদের দাবি থেকে সরিয়ে দেয়া যাবে এমনটি কেউ মনে করলে সেটি ভুল ধারণা বলে মন্তব্য করে তিনি। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আমরা কোন আন্দোলন করবো না, কিন্ত আমাদের দাবিতেও আমরা অনড় থাকবো।
অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ কমিটি করায় শঙ্কা প্রকাশ করে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষকদের বেতন স্কেলের আন্দোলনকে নিয়ে অর্থমন্ত্রী খারাপ মনোভাব পোষণ করেছিলেন। এর জন্য অর্থমন্ত্রী দুঃখও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই বেতন বৈষম্য দূরীকরণ কমিটিতে অর্থমন্ত্রীকেই প্রধান করা হয়েছে। এইবার তিনি কি করবেন তা নিয়ে শঙ্কা হয়।” এই অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে ন্যায় সঙ্গত কোন কিছু পাবো না বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রীকে ভেবে-চিন্তে কথা বলা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রী ভবিষ্যতে যতদিন চাকুরি করবেন বা তিনি বিদেশে কতদিনের জন্য চলে যাচ্ছেন জানি না। তবে আবার বিদেশে থেকে ফিরে এসে যদি মন্ত্রীত্ব করেন তাহলে অর্থমন্ত্রীকে একটা কথাই বলবো।
“আপনি কোন কথা বলার আগে দশ বার চিন্তা করবেন আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সম্পর্কে কথা বললে এক হাজার বার চিন্তা-ভাবনা করে বলবেন। আপনার বয়স অনেক আপনাকে আমরা সম্মান করি। তবে এমন কিছু বলবেন না যাতে দ্বিতীয়বার ক্ষমা চাইতে হয়।”
তিনি বলেন, “আন্দোলন এতো দিন করতে হতো না। করতে হচ্ছে এই কারণে যে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উনার কানভারী করা হয়েছে। এই কাজটা করেছে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা আমলারা।”