[english_date]

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ফের উচ্ছেদ শুরু

তিন দিন বিরতির পর চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান আবারও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়। পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় থাকা কয়েকটি পরিবার উচ্ছেদ ছাড়াও এসব বাড়িতে থাকা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রশাসন।

এর আগে গত রোববার জেলা প্রশাসন মতিঝর্ণা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করা প্রায় ৪০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় ধস ঠেকাতে বর্ষা চলাকালীন এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’

নগরীর লালখান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে  অভিযান চালানোর সময় উচ্ছেদ হওয়া লোকজন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব ঝুঁকিপূর্ণ ঘর তৈরি ও ভাড়া দেওয়ার জন্য দায়ী। 

২০০৭ সালে এই লালখান বাজার এলাকাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস ও মাটিচাপায় ১২৭ জন মারা যায়। কেবল ২০০৭ সালে নয়, ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে মারা গেছে ২২৩ জন।
২০০০ সালে মারা যায় তিন শিশু। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, চট্টগ্রামের ৩০টি পাহাড়ে সাত শতাধিক মানুষ বাস করে। গত ২ জুন চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় নগরীর প্রায় ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের গত ৮ জুনের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ