২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঘুমানোর ধরণই বলে দিবে আপনি কেমন?

অধিকাংশ মানুষেরই ঘুমানোর একটি নির্দিষ্ট ধরন থাকে৷ কেউ পাশ না ফিরে শুতে পারেন না কেউ আবার সোজা হয়ে ঘুমান৷ ঘুমানোর সময় অবচেতনে আপনার শরীরের চলন আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জানান দেয়৷ একটি গবেষণায় কিছু বিশেষ ঘুমানোর ধরন এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে৷ সেই গবেষণা অনুযায়ী দেখে নিন আপনার শোয়ার ধরন কী বলছে আপনার সম্পর্কে৷

১. একপাশ ফিরে শোওয়া:
অধিকাংশ ব্যক্তিই শোয়ার সময় একটি পাশে ফিরে বুকের কাছে পা গুটিয়ে শুতে পছন্দ করেন৷ ওভাবে না শুলে তাদের ঘুম হয় না৷ দেখে অস্বস্তিকর মনে হলেও এইভাবে শুতেই ঘুমাতে পছন্দ করেন তারা৷ বিশেষজ্ঞদের মতে পাশ ফিরে সামনের দিকে হাত ছড়িয়ে যাঁরা ঘুমান তাঁরা সাধারণত খোলা মনের হন৷
এইভাবে শোওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বলে মনে করেন গবেষকরা৷ এইভাবে শুলে অ্যসিডের সমস্যা বাড়ে৷ এছাড়া যাঁদের মধ্যে বাতের ব্যাথা রয়েছে তাদের কখনওই এভাবে শোওয়া উচিত নয়৷ এতে ব্যাথা আরও বাড়ে৷ এক্ষেত্রে একটি পাতলা বালিশ দুই পায়ের ফাঁকে নিয়ে শোওয়া ভালো৷ তাতে পিঠের দিকে চাপ না পড়ে।

২. সোজা হয়ে শোওয়া:
অনেকে ঘুমানোর সময় একদম সোজা হয়ে দুপাশে হাত রেখে ঘুমান৷ এই ধরনের শোওয়া দেখলে বোঝা যয় ওই ব্যক্তি অপেক্ষাকৃত গোঁড়া এবং রক্ষনশীল মানসিকতার হন৷ তাঁদের মধ্যে জেদও থাকে বেশি৷ তাঁরা খুব নিয়মমাফিক জীবনধারনে বিশ্বাসী৷
বিশেষজ্ঞদের মতে যাঁরা এভাবে শুতে পছন্দ করেন তাঁদের পিঠে ও ঘারে ব্যাথা থাকলে তা কম হয়৷ কিন্তু অ্যাসিডের সমস্যা বাড়তে পারে এবং নাক ডাকার প্রবনাতাও বাড়ায়৷ এক্ষেত্রে মাথার তলায় আরও একটি বালিশ দিয়ে শোওয়া ভালো৷

৩. উল্টো হয়ে শোওয়া:
অনেক ব্যাক্তি উল্টো হয়ে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে শুতে পছন্দ করেন৷ তাদের মধ্যে ভয় এবং নেগেটিভ অনুভূতি বেশি কাজ করে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এঁদের মনে হয় তাঁদের জীবনের উপরে তাদের কোনও হাত নেই৷ এদের মধ্যে মানিয়ে নেওয়ার প্রবনতা বেশি থাকে৷
এইভাবে শুলে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধার জন্য একদিকে ঘার ঘুরিয়ে শুতে হয়৷ তাতে ঘারের ও গলার পেশিতে চাপ পরে৷ যার ফলে ওই অংশে ব্যাথার সম্ভবনা বাড়ে৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ