বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জেএমবি, হুজি, হিযবুত তাহরীর’এর মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের পাশাপাশি ইসলামী সংগঠনগুলোর মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে গ্রেনেড বানানো এবং তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ আঁতাত হয়েছে বলে সন্দেহ করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সাম্প্রতিক সময়ে এসব সংগঠনের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ছিলো একই রকম। এ অবস্থায় এসব গ্রেনেডের কারিগরদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামে জঙ্গি সংগঠন জে এম বি, হরকাতুল জেহাদ-হুজি, হিযবুত তাহরীর এবং শহীদ হামজা ব্রিগেডের বেশক’টি আস্তানায় হানা দিয়েছে র্যাব ও পুলিশ। সে সব আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হাতে তৈরি বোমা এবং গ্রেনেড।
এমনকি আলোচিত-সমালোচিত হেফাজতে ইসলাম নিয়ন্ত্রিত লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকেও উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ছিলো একই রকম। মূলত লোহার পাইপ, বল বিয়ারিংয়ের মতো দেশী প্রযুক্তি এবং উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে এসব গ্রেনেড।
গত সোমবার নগরীর কর্ণফুলী খোয়াজনগর এলাকায় জে এম বি’র আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত গ্রেনেডও ছিলো একই ধরণের। তাই পুলিশের ধারণা জঙ্গি সংগঠনগুলোর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য এক হওয়ায় গ্রেনেড তৈরির প্রশিক্ষণও একই জায়গায় চলছে। এ অবস্থায় এসব গ্রেনেড তৈরির কারিগরদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, আগে জঙ্গি সংগঠনগুলো বড় সাইজের বোমা ব্যবহার করলেও নানা ঝুঁকির কারণে এখন ছোট সাইজের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রেনেড তৈরি করছে
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলো দু’ জেএমবি সদস্য এবং এক ব্যবসায়ী।