গরমের দিনে ক্লান্ত শরীরে একগ্লাস ঠাণ্ডা পানি যেন সকল প্রশান্তির মূল। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, উষ্ণ গরম পানি আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। নানা সমস্যায় তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে গরম পানির তুলনা হয় না। তাই জেনে নেয়া দরকার, কোন সমস্যায় গরম পানির কেমন ব্যবহার হলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
* প্রতিদিন সকালে লেবু মিশ্রিত গরম পানি পানে দেহের বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব। এই পানীয় বডি ফ্যাট ভাঙতে খুবই সাহায্যকারী।
* খাবার পর ঠাণ্ডা পানি পান করলে খাদ্যের সঙ্গে থাকা চর্বিগুলো পাকস্থলীর গায়ে জমাতে থাকে। যা শেষ পর্যন্ত ক্যানসারে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু হালকা গরম পানি তার উল্টোটা করে। এটা চর্বি ভেঙ্গে তা হজম বা নিঃসরণে সহায়তা করে। ফলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়।
* ঠাণ্ডা লাগা, কফ জমে যাওয়া এবং গলা ব্যথায় গরম পানি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। ঠাণ্ডা লাগলে গরম পানি পান গলা ও নাসারন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
* মাসিক বাধা পাওয়ার কারণে প্রচণ্ড পেট ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা নিমিষেই দূর করতে বোতলে করে গরম পানির ছ্যাকা খুবই উপকারী। তলপেটে সহ্য হয় এমন উষ্ণতায় ছ্যাকা দিলে মাসিকের রক্তপাত স্বাভাবিক হয়, পেট ব্যথাও দূর হয়।
* গরম পানি পান শরীরের বর্জ্য বের করে দেয়। গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ঘাম ঝরায়। ঘামের সঙ্গেই শরীরের অনেক ধরনের বর্জ্য বের হয়ে আসে। গরম পানি ত্বকের মরা কোষগুলোকে ঝরিয়ে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ত্বক কোমল হয় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়।
* চুলের স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তি বাড়াতে মৃদু উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। চুলের গোড়ায় থাকা স্নায়ু কার্যকর করে চুল শক্ত করতে সাহায্য করে উষ্ণ গরম পানি। ফলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
* গরম পানি পান করার অভ্যাস থাকলে দেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। ফলে পেশী ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। পাশাপাশি বাড়তি চর্বি ভেঙ্গে ফেলে।
























