৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এসব দাবির ক্ষেত্রে কোন আশ্বাস না পেলে আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর সরকারি কলেজগুলোতে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করবেন এই শিক্ষকরা এবং ১ নভেম্বর শিক্ষা ভবনের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শিক্ষক নেতারা। সেখানে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন বেগম জানান, আমরা এখন মনে করছি কঠোর কর্মসূচি ছাড়া আমাদের দাবি আদায় হবে না। আমরা শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চাই না। ঘোষিত কাঠামোতেই আপগ্রেডেশন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রেখে শিক্ষকদের এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো হলে আমাদের ক্যাডার থেকে বের করে দেয়া হতে পারে। এসব চক্রান্ত হচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির কোন বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরে শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। তবে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। বৈঠকশেষে আই কে সেলিমউল্লাহ খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দাবির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, সম্প্রতি ৮ম বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারদের অধ্যাপক পদে বেতন বৈষম্য নিরসনে আমাদের দাবিকে বিবেচনায় না এনে বরং ঘোষিত বেতন কাঠামোতে অধ্যাপক পদের স্কেল ও গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করায় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের সকল স্তরের বেতন বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : ৯৮