
টেস্ট পাইলের কাজ চলছে। অপেক্ষা এখন পদ্মা সেতুর মূল পাইলের। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে সেটাও। মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় চীনা কোম্পানির বিশাল ওয়ার্কশপে চলছে এইসব পাইল নির্মাণের কাজ। এখন পর্যন্ত টেস্ট পাইলের ফলাফলও সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দেশের ইতিহাসে সবচে বড় প্রকল্প তার কর্মযজ্ঞও তাই বিশাল। সেতুর দায়িত্বে চীনের মেজর ব্রিজ কোম্পানি। বিশাল এলাকা নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় তাদের গড়ে তোলা ওয়ার্কশপে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বানানো হচ্ছে পদ্মা সেতুর পাইল।
৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার পদ্মা সেতুতে পাইল বসানো হবে ২৬৪টি। এর মধ্যে চীন থেকে চলে এসেছে ১২ হাজার টন স্টিল প্লেট। যেটি দিয়ে আপাতত নির্মাণ করা যাবে ২০টি পাইল। সমুদ্রপথে আসছে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টন স্টিল প্লেট। একটি স্টিল প্লেট দিয়ে তৈরি করা হবে ৩ দশমিক ২ মিটার উচ্চতার পাইল। তবে তার আগে বুয়েটে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে আমদানিকৃত স্টিলের মান।
মাওয়া ওয়ার্কশপে নির্মিত ছোট ৮টি পাইলকে জোড়া লাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নির্ধারিত স্থানে। এরপর এরকম বড় ৪টি পাইলকে জোড়া লাগিয়ে চূড়ান্ত ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি পাইল তৈরি করা হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানালেন, অক্টোবরের মধ্যেই মূল পাইল বসানো সম্ভব হবে।
এর আগে, ৩টি টেস্ট পাইল এবং ভায়াডাক্টের জন্য ৪টি পাইল বসানো হয়েছে। এক একটি টেস্ট পাইলের ওপর ৪ হাজার টন ওজন চাপিয়ে পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ওপরই মূল পাইলের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হবে। পাইল বসানোর ওয়ার্কশপটির পাশেই সাব স্ট্রাকচার এবং সুপার স্ট্রাকচার নির্মাণের জন্য ১৩শ’ মিটার দৈর্ঘ্যের আরেকটি ওয়ার্কশপ নির্মাণের কাজ চলছে।