একাধিকবার নির্দেশনার পরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলা কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে যে সরকারি কর্মকর্তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের তালিকা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকার তাদের তালিকা চেয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সরকারি ভাষায় তাকে ‘ট্যাগ অফিসার’ বলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় ট্যাগ অফিসার ত্রাণ বিতরণ তদারকি করছেন না জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ফলে ত্রাণের জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে, এদিক-সেদিক চলে যাচ্ছে। এসব দেখার দায়িত্ব তো ওই সরকারি কর্মকর্তারই। ফলে আমরা বলেছি যারা দায়িত্ব পালন করছেন না তাদের তালিকা পাঠাতে। এই তালিকা পাওয়ার পর আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের ১০ টাকা কেজি দরের চাল ‘এদিক-সেদিক’ হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘১০ টাকা মূল্যের চালের ডিলাররা এ কাজগুলো করছেন। যখন চাল বিতরণ করা হয় কেউ সর্বোচ্চ ৫ কেজি কিনতে পারেন। দেখবেন এসব চাল বিতরণের আশপাশে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থেকে চাল কেনেন অনেকে। অনেকে ৫ কেজি চালের মধ্য থেকে তিন কেজি বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে অন্য জিনিসপত্র কিনে বাড়ি যায়, এটা হয়।’
এভাবে চাল কেনাকে ‘অন্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ইউএনদেরকে বলেছি, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে যারা ত্রাণ কেনে, এদের ধরতে হবে। পুলিশ দিয়ে এদের তাড়িয়ে দিতে হবে। কারণ ১০ টাকার চালের আসল দাম তো ৫০ টাকা। ওই চাল তারা একত্র করে বাজারে বিক্রি করে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্দেশনার পরেও যারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদের তালিকা পাঠাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। আমরাও তাদের তালিকা চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের চিঠি পাঠিয়েছি।’