শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ক্রীড়া বিশ্বের অন্যতম বড় আসর ‘স্পেশাল অলিম্পিক’। এবারের গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল অলিম্পিকের আসর বসছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জলসে। ১৭৭ দেশের প্রায় সাত হাজার অ্যাথলিট এবারের আসরে অংশ নিচ্ছেন। যেখানে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ৫৭ জন। মার্কিন ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এবারের আসর উদ্বোধন করবেন।
খেলাধুলার অধিকার এই বিশ্বের সবার আছে। নিখাদ বিনোদন কিংবা দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এই অধিকারও সমাজের সবার রয়েছে। তাই ১৯৬৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি’র বোন কেনেডি স্রাইভারের হাত ধরে স্পেশাল অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। যে আসর শুধুই প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের ক্রীড়া নৈপুণ্যে দেখানোর।
চার বছর পর পর আলোড়ন তোলা এই আসর এবার ফিরে গেছে নিজের জন্মভূমি আমেরিকায়। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে বিশ্বের অন্যতম বড় এই ক্রীড়া আসরে লড়াই করবেন সমাজের বিশেষ প্রতিভার অ্যাথলিটরা। এবারের আসরে ১৭৭ টি দেশের প্রায় ৭ হাজার অ্যাথলিট লড়াই করবেন। যারা লড়বেন ২৫ টি ডিসিপ্লিনে।
১৬ বছর আমেরিকায় এবারের স্পেশাল অলিম্পিক গেমসের আসর বসবে লস অ্যাঞ্জেলসে। যেখানে অংশ নেয়া দেশগুলোর অ্যাথলিট ও প্রতিনিধিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারের বিশ্ব গেমসে সবচেয়ে বড় দল স্বাগতিকদের। ৪৮১ জনের বহর থাকছে আমেরিকার।সবচেয়ে কম ৮ বছর বয়সী ম্যাকাও’র অ্যাথলেটহোই কি তাং ও সবচেয়ে বেশি বয়সী ৭১ বছরে গেমসে অংশ নিচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের অ্যাথলেট প্যাট্রিক রাদারফোর্ড। আর বাংলাদেশ থেকে এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ৫৭ জন অ্যাথলিট।
স্বাধীনতার এত বছর পর মূল অলিম্পিকে যেখানে বাংলাদেশের কোনো পদক নেই সেখানে প্রতিবন্ধীদের অলিম্পিকে দারুণ সফল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৯৯৫ সাল থেকে পাঁচটি স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ১০৪ টি সোনা সহ মোট ২০৭ টি পদক জিতেছে এই অ্যাথলিটরা। এবারের লক্ষ্যটা আরো বড়।
এদিকে স্পেশাল অলিম্পিকের উদ্বোধন দিয়ে এবার চমক দেখাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব কার্যক্রম শেষ করেছে আয়োজকরা। বিশাল বাজেটের এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন মার্কিন ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ পর্ব। যেখানে লাল সবুজের সংস্কৃতি তুলে ধরবেন অ্যাথলিটরা।
৯ দিনব্যাপী চলবে এই ক্রীড়াযজ্ঞ। স্পেশাল অলিম্পিককে আয়োজকরা অনুপ্রেরণামূলক ইভেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সারা বিশের ৫ মিলিয়ন দর্শক এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করবেন।