[english_date]

হামাস-ইসরাইল সংঘাত: যে কারণে যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হলো নিরাপত্তা পরিষদ

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যখন ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে, তখন রুদ্ধদ্বার জরুরি অধিবেশন শেষ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু এ ইস্যুতে তারা একটি যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের কয়েক হাজার রকেট হামলা থেকে শুরু করে যুদ্ধে কমপক্ষে ১৪১৩ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইল একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করে ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় অবিরাম বোমা হামলা চালাচ্ছে।

এমন অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি অধিবেশনে বসে। সেখানে পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতি হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানানোর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের কাছে মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক রবার্ট উড বলেন, হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বেশ কিছু দেশ। তবে স্পষ্টতই সবাই নিন্দা জানায়নি। তাদের সম্পর্কে আমি কিছু না বললেও সম্ভবত আপনারা তাদের একটি দেশকে চিনতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাশিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন।

ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে।

এতে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শান্তির দূত টোর ওয়েন্সল্যান্ডের ব্রিফিংয়ের ওপর শুনানি হয়। কূটনীতিকরা বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর চেয়ে রাশিয়ার সদস্যরা তাদের দেশের ওপর ব্যাপক নজর দেওয়া হবে বলে আশা করছিলেন। নিরাপত্তা পরিষদে যে কোনো প্রস্তাবে যৌথ বিবৃতির জন্য প্রয়োজন সর্বসম্মত মত। জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া পরিষদে বলেছেন, আমার বার্তা হলো— অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। অস্ত্রবিরতি করতে হবে। অর্থপূর্ণ সংলাপ হতে হবে। দশকের পর দশক ধরে এই কথাটিই বলা হয়েছে। অনিষ্পন্ন এই ইস্যুগুলোর আংশিক ফল এই যুদ্ধ।

২০০২ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা বলেছে, এই সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আরও বৈঠক প্রয়োজন। দেশটির রাষ্ট্রদূত লানা জাকি

নুসেইবে বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেকেই বুঝতে পারছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ উদ্বেগের। নিরাপত্তা পরিষদের অনেক সদস্যই বিশ্বাস করেন এই সংকটের ফাইনাল সমাধান হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান।

তবে এই মিটিংয়ে যোগ দেননি ইসরাইল বা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কেউ। তবে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের জন্য কূটনীতিকদের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলো যখন ইসরাইলিরা মারা যান, তখন কিছু মিডিয়া এবং রাজনীতিক কথা বলা শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, এটা সেই সময় নয় যখন ইসরাইলকে তার ভয়াবহতা দ্বিগুণ করতে অনুমতি দেওয়া যায়। এটা সেই সময়, যখন ইসরাইলকে তার পথ পরিবর্তনের জন্য বলা উচিত। তাদের বলা উচিত শান্তির একটি পথ আছে। তাতে কোনো ফিলিস্তিনি বা ইসরাইলি নিহত হবে না।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ