[english_date]

দ্বিতীয় সুন্দরবন রক্ষা হলেই সবাই পাবে নিরাপদ প্রকৃতি

[quote]দ্বিতীয় সুন্দরবন রক্ষা হলেই সবাই পাবে নিরাপদ প্রকৃতি, উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী জুড়ে পাখিদের অভয়ারন্য কি রক্ষা হবে না ?[/quote]

আকাশ ইকবাল, চট্টগ্রাম-মীরসরাই প্রতিনিধি:-

নতুন করে বনায়ন তো হচ্ছেই না বরং পুরোনো বন কেটে একে একে ধ্বংসই করছে প্রকৃতিবিপন্নকারী হরেক রকম দস্যুরা। হরেক রকম পাখি আর পশুদের অভয়ারন্য রক্ষা না করলে আমাদের সকলেরই জীবন বিপন্ন অত্যাসন্ন।

বঙ্গোপসাগরের মোহনা তথা উত্তর চট্টগ্রামের ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ জনপদ প্রাকৃতিক রুপ বৈচিত্রে সমৃদ্ধ জনপদ মীরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলার উপকূলীয় বৈচিত্রময় অঞ্চল আজ কাঠচোর আর শিকারীদের উৎপাতে নানাভাবে ঝুকির মুখে। অথচ দুই উপজেলার অন্তঃত ১০ লক্ষ মানুষের প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিরাপত্তায় উপকূলীয় এই সবুজ বেষ্টনী।

সরেজমিনে মীরসরাই উপজেলার সাহেরখালী টু সন্দিপ চ্যানেল এর উক্ত উপকূল দিয়ে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায় বেঁড়িবাঁধ থেকে কয়েক কিলোমিটার সমূদ্র উপকূল পর্যন্ত সৃজন করা বনাঞ্চলের অধিকাংশই বিলীন হয়ে গেছে। এক শ্রেণীর কাঠ চোর চক্র স্থানীয় বনকর্মিদের ফাঁকি দিয়ে কিংবা ম্যানেজ করে উজাড় করেছে কেওড়া, বাইন, ঝাউ সহ নানান প্রজাতির উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনি বৃক্ষরাজি। অথচ ১৯৭৯ সালে এখানে মীরসরাইয়ের ইছাখালী হতে উপকূলের অন্তঃত শত বর্গ কিলোমিটার জুড়ে সীতাকুন্ডের কুমিরা উপকূল পর্যন্ত সৃজন করা হয়েছিল দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন। সমতল হতে বেড়িবাঁধ হয়ে সর্পিল আঁকা বাঁকা নানান খাল ছরা এই বন পেরিয়ে পৌছেছে বঙ্গোপসাগরে। নৌকা দিয়ে এইসব এলাকা ঘুরে বেড়াতে নান্দনিক নানান দৃশ্য খুলনার সুন্দরবনকে ও হার মানায়। এই বনে বৃক্ষের পাশাপাশি হরিন, বানর, অজগর, পাখপাখালি সহ হরেক রকমের জীববৈচিত্র এখনো দৃশ্যমান এখানে। এখনো হাজার হাজার হরিনের নিরাপদ অভয়ারন্য আছে এখানে। কিন্তু দুঃখজনক হলে ও সত্যি এই বন সৃজন করা হয়েছে দুই উপজেলাকে সামূদ্রিক জলোচ্ছাস কিংবা দূর্যোগ থেকে বাঁচাতে। যা আজ হুমকীর মুখে।

এই উপকূলের সুন্দরবনের নৌকা দিয়ে ঘুরে দেখা যায় বনের অনেক স্থানে প্রতিনিয়ত দেখা যায় সদ্য কেটে নেওয়া কেওড়া ও বাইন গাছের অবশিষ্টাংশ। এভাবে অরক্ষিত থাকলে অচিরেই বিলীন হবে সুন্দরবনের অবশিষ্ট সুন্দর টুকুন।

প্রাপ্ত অভিযোগে আরো জানা যায় সম্প্রতিকালে ও কিছু শিকারীদল বিভিন্ন রকম বন্দুক নিয়ে প্রকাশ্যে অতিথী পাখি শিকার করছে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেই।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মঘাদিয়া উপকূলীয় বন বিট কর্মকর্তা ইরফান উদ্দিন জানায় আমরা কোন শিকারী পেলেই বাঁধা দিই।

এই বিষয়ে উপকূলীয় বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম ভূঞা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা বন ও প্রাকৃতিক পশুপাশি রক্ষায় সচেষ্ট আগামীতে ও বনাঞ্চল রক্ষায় আরো উদ্যোগের প্রস্তাবনা ও দেয়া আছে। স্থানীয় কোষ্ট গার্ড এর পিও অধির কুমার মজুমদার জানায় আমরা চেষ্টা করছি এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে। কিন্তু আমাদের কাছে নেই স্পীডবোট, নেই গাড়ী, নেই যাবতীয় সহ উপকরণ তাই আমাদের জন্য স্বাভাবিক কাজ দুরুহ। তবু ও আমরা আজ ও খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যাই। সর্বোপরি এই সুন্দরবন রক্ষায় আপোষহীন সরকারি কঠোর উদ্যোগ হলেই এই সুন্দরবন রক্ষা সম্ভব।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ