দেশদ্রোহী কার্যকলাপের দায়ে ‘সেভ দ্য চিল্ড্রেন’ সংস্থাকে কাজকর্ম গুটিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ বাতিল করে দিল পাক প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মার্কিন চাপেই এই ভোলবদল পাকিস্তানের। দেশে এনজিও-গুলির কার্যকলাপ খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত শিশুকল্যাণে নিযুক্ত সংস্থাটিকে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। ওসামা বিন লাদেনের হদিস পেতে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র ভুয়ো শিশু-টীকাকরণ কর্মসূচির সঙ্গে তারাও জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছিল পাক সরকার। পাক গুপ্তচর সংস্থা সে সময় দাবি করেছিল, ওই ভুয়ো কর্মসূচি চালাতে সিআইএ শাকিল আফ্রিদি নামে যে ডাক্তারকে কাজে লাগিয়েছিল, তাঁর সঙ্গে যোগ রয়েছে ‘সেভ দ্য চিল্ড্রেন’-এর। যদিও সংস্থাটি সিআইএ বা আফ্রিদি, কারও সঙ্গেই তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছিল।
এনজিও-টির ওপর নিষেধের খাড়া নামতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওয়াশিংটনের তরফে পাক প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগে পাকিস্তান এমন এক স্বচ্ছ আইন, প্রক্রিয়া চালু করুক যাতে আন্তর্জাতিক এনজিও-রা সেদেশে আইন মেনেই কাজকর্ম চালাতে পারে। তাতেই কাজ হয়। এক চিঠিতে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, সেভ দ্য চিল্ড্রেনকে নিষিদ্ধ করার আগের সিদ্ধান্তটি পরবর্তী নির্দেশ জারি হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হল।
























