[english_date]

সুপারশপ ও অনলাইন শপিংয়ে বাড়তি কর, হতাশ সংশ্লিষ্টরা

বাজেটে সুপারশপে কেনাকাটায় করের হার ২ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। একই সঙ্গে কোন ধরনের করের আওতায় না থাকা অনলাইন কেনাকাটার উপরও আরোপ করা হচ্ছে ৪ শতাংশ কর।

ব্যবসায়ীরা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, প্রস্তাবিত করের হার বাস্তবায়ন করা হলে এসব খাতে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না।

নিত্যদিনের ঝক্কি ঝামেলা এড়িয়ে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে অনেক ক্রেতাই এখন অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স সাইটগুলোর প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছেন। ধীরে ধীরে একেবারেই আনকোরা বিষয়টি সাধারণ জনগণের কাছে হয়ে উঠছে জনপ্রিয়।

এসব ওয়েবসাইটে এটিএম কার্ড, মোবাইল পেমেন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই ঘর-গেরস্থালীর সব ধরণের পণ্যই কেনাকাটা করা যায় মুহূর্তেই।

এই অবস্থায় খাতটি যখন মাত্রই বিকাশ লাভ করছে তখনই এর উপর কর আরোপকে বোঝা হিসেবেই দেখছেন উদ্যোক্তারা।

এ ব্যাপারে আজকের ডিল ডটকম- এর চেয়ারম্যান এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘এটি যখন প্রথমে অনলাইনে শুরু হয়, তখন শুধুই ফেসবুকভিত্তিক একটি সেক্টর ছিলো। এখন অনেক সাইট হয়ে গেছে। তারা পেশাদারদের মতোই ক্রেতাদের সেবা দিচ্ছেন। এতে চার শতাংশ কর আরোপ করা হলে ক্রেতাদের সেবার মান অনেকাংশেই কমে যাবে।’

করের হার বাড়ানো হয়েছে সুপারশপে কেনাকাটার ওপরও, এর আগে ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২ শতাংশ কর থাকলেও এবার ভোক্তা পর্যায়ে যোগ হবে বাড়তি কর। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অ্যাগোরা’র আউটলেট ব্যবস্থাপক জান্নাত আক্তার শীলা বলেন, ‘ক্রেতারা যদি বাসার পাশের মুদি দোকানে ৫-১০ টাকা কমে পণ্য পান, তাহলে তারা স্বাভাবিকভাবেই সুপারশপে না এসে সেখান থেকেই কিনবেন।’

বাজেট প্রস্তাবনা থেকে পাশ হওয়ার আগেই এসব খাতে করের হার নতুনভাবে বিন্যাসের আহ্বানও জানান তারা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ