প্রাক্তন পাকিস্তানের স্পিডার ম্যান শোয়েব আখতার আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশ সক্রিয় রয়েছেন। অবশ্যই, এর পেছনের কারণটি হল করোনাভাইরাস মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি এবং এরপরে রয়েছে দেশব্যাপী লকডাউন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের জড়িত কিছু আকর্ষণীয় গল্প প্রকাশ করছেন। এখন, ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে কেন্দ্র করে আরও একটি দুরন্ত গল্প সমর্থকদের কাছে শেয়ার করেছেন।
সবা্ইকে আরেকবার স্মরণ করেছিলেন দিয়েছেন ২০১০ সালে ভারত বনাম পাকিস্তান এশিয়া কাপের ম্যাচটি কথা। যেখানে তিনি অফ-স্পিনার হরভজন সিংয়ের সাথে লড়াইয়ে মেতে ছিলেন। এটি সত্য যে মাঠের বাইরে তারা দু’জনেরই একে অপরের সাথে বন্ধুত্বের ভাল সম্পর্ক ছিল, কিন্তু যখনই দু’জন ক্রিকেটের পিচে একে অপরের বিপক্ষে খেলতেন, তারা আক্রমণাত্মক হয়ে য়ান।হরভজন তখন পাকিস্তানের বিপক্ষে ছক্কা মেরে ভারতের হয়ে খেলাটি জিতেছিলেন।
আখতার বলেন, খেলা শেষ হওয়ার পরে তিনি হরভজনের সাথে লড়াই করতে হোটেলে গিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন যে, কীভাবে হরভজন পাঞ্জাবি হিসাবে এমন আচরণ করতে পারে এবং আমরা একইরকম সংস্কৃতি চর্চা করি। “আমি হরভজন সিংকে তার সাথে লড়াই করার জন্য হোটেলের ঘরে খুঁজছিলাম। কিন্তু পাইনি। সে আমাদের সাথে খায়, লাহোরে আমাদের সাথে ঘোরাঘুরি করে, সংস্কৃতি আমাদের দুজনের সমান, তিনি পাঞ্জাবি ভাই, তবুও কেন তিনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন? “আমি ভেবেছিলাম হোটেলের ঘরে গিয়ে তার সাথে লড়াই করব। কিন্তু পরের দিন আমি শান্ত হয়েছি, এবং তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন, ”।এসব কথা শোয়েব আখতার হেলো অ্যাপে ভিডিও এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন।
অতীতে হরভজন প্রকাশ করেছিলেন যে, শোয়েব আক্তার লড়াইয়ের জন্য তাঁর হোটেল ঘরে আসার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে একবার তাকে এবং যুবরাজ সিংকে মেরেছিলেন। “শোয়েব তাকে আরো হুমকি দিয়েছিল যে সে তার ঘরে এসে তাকে মারবে। তখন তিনি পাল্টা জবাবে বলেছিলাম ‘এসো, দেখা যাক কে কাকে মারবে।’ তিনি এই ও বলেছিলেন, তখন নাকি তিনি সত্যিই ভয় পেয়েছিল। তিনি আরো বলেন, শোয়েব একজন বদমেজজী।
সূত্র: নিউজ নাউ
























