জুয়েল রানা, সিলেট সংবাদদাতা : সরকারি সিদ্ধান্তে ঈদের আগে সীমিত আকারে শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা শপিংমল সহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন । এ নিয়ে সম্প্রতি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকেও ঐকমত্যে পৌঁছান ব্যবসায়ীরা।
এমন সিদ্ধান্তের পরও নগরীর হাসান মার্কেট ও হকার্স মার্কেট খোলা হয়। এরই মধ্যে এক ব্যবসায়ীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় মার্কেট দু’টি বন্ধ করা হয়।
শনিবার (১৬ মে) আবারো নগরীর জিন্দাবাজার ও বারুতখানা এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে বসেন। ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিরা দোকানগুলো বন্ধ করতে গিয়ে অনেক দোকানির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে বারুতখানা ফেবুলাস নামক কাপড়ের দোকান বন্ধ করতে গেলে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের ওপর চড়াও হন দোকানের কর্মচারীরা।
মহানগর দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহমেদ রিপন বলেন, ‘করোনার বিরুপ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে দোকানপাট বন্ধ রেখেছি। দু’চারজন দোকানি এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে দোকান খোলা রাখতেন। এতে করে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় দোকান বন্ধ করতে অনেক ব্যবসায়ী রাজি হলেও বারুতখানার ফেবুলাসের কর্মচারীরা হননি। উপরন্তু তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। বিষয়টি চেম্বার সভাপতিকে জানিয়েছি।’
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এটিএম শোয়েব বলেন, ফেবুলাসের কর্মচারীরা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যার পর বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
তবে, জিন্দাবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান খোলায় ও ফুটপাতে হকার বসায় লোকজনের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
























