[english_date]

ভুয়া পাসপোর্টসহ আটক ৬

কুমিল্লায় মানবপাচারকারী চক্রের তিন সদস্য এবং এক নারীসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া পাসপোর্ট এবং এসব পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারীসহ রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার র‌্যাব ১১-সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্মসনদ, কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, সাতটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়। যা ওই পাচারকারী চক্র তৈরি করে এর মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি করে তাকে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল।

তিন পাচারকারী হলো- উপজেলার কাপড় চতলী এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম রুবেল (২৫), ফজলুল হকের হকের ছেলে নূরুল হক (২৯) এবং ডিমাতলী এলাকার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহাম্মেদ রনি (৩২)। তাদের জিম্মা থেকে যে তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয় তারা হলো- ২০১৭ সালে আগত বালুখালী পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক নারী, একই বছর আসা ট্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মো. জাহেদ হোসেন (২৫) এবং ২০১৩ সালে আসা কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সি/৩ এর মো. হাকিম শরিফের ছেলে মো. রফিক (৩৭)।

মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের পাচার করে আসছে। আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ