টি-টুয়েন্টির তিন ম্যাচ সিরিজে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়ে ১-০ তে এগিয়ে যায় টিম বাংলাদেশ।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করা সিদ্ধান্ত নেয়েছে বাংলাদেশ।শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ রানের মাথায় ভারতের ব্যাটিং দানব রোহিত শার্মাকে ফেরান সফিউল ইসলাম। তারপর আমিনুলের ঘুর্ণিতে ধরা পড়ল রোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়াস আইয়ার। শেখর ধেওয়ান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করলে রান আউট করে ডিসিং রুমের টিকেট তুলে দেন ক্যাপ্তান মাহমুদুল্লাহ। এরপর নিয়মিত উইকেট পতনে ভারতের স্কোর দাড়ায় ২০ ওভারে ১৪৮/৬ রান।
দ্বিতীয় ইংনিসে বাংলাদেশ ১৪৯ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দলের ৯ রানের মাথায় লিটন দাসের উইকেট হারান। এরপর সৌম্য সরকার ও অভিষেক্ত মোহাম্মদ নাইম ছোট্ট একটি পার্টারশিপ গড়ে তুললে দলের ৫৪ রানে মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে একটু চাপের মুখের পড়েন। তারপর আসেন কাব্য লেখার নায়ক বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান “মি: ডিপেন্ডেবল খ্যাত” মুশফিকুর রহিম। মুশফিক ও সৌম্য সরকারের হার না মানা জুটিতে পৌছে যাচ্ছে জয়ে বন্দরে। জয়ের একটু কাছে এসে ১৬তম ওভারের শেষ বলে ভারতীয় পেসার খলিল আহমেদ বোল্ড করে ফেরান সৌম্য সরকারকে। চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তারপর আসেন ক্যাপ্তান মাহমুদুল্লাহ । দুভাইরা মিলে দুই জনে, দুই প্রান্তে আগলে ধরে বাংলাদেশকে ঠিক ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতে বিপক্ষে ১ রানে হেরে যাওয়া ম্যাচটির মত। তখন তারা যে ভুলটা করেছিল তা পুনরাবৃত্তি করতে দেয়নি। ভারতীয় বোলাদের চাপকে উপেক্ষা করে ঘুটি ঘুটি পা দিয়ে হেটে চলছে জয়ের বন্দরে। তারপর ক্যাপ্তান মাহমুদুল্লাহ ১৯.৩ ওভারে ধুবের বলে ছয় মেরে ৭ উইকেটে জয় তুলে নিল। এটি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম এবং শুধু তাই নয় এটি বিশ্ব টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ১ হাজার তম ম্যাচ যা বাংলাদেশ নিজের করে নিল। প্রাকৃতিক ও দলের অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে একটি অবিস্মরণীয় জয় উপহার দিল দেশবাসীকে টিম বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (ধাওয়ান ৪১, রোহিত ৯, রাহুল ১৫, শ্রেয়াস ২২, পান্ত ২৭, দুবে ১, পান্ডিয়া ১৫*, সুন্দর ১৪*; শফিউল ৪-০-৩৬-২, আল আমিন ৪-০-২৭-০, মুস্তাফিজ ২-০-১৫-০, আমিনুল ৩-০-২২-২, সৌম্য ২-০-১৬-০, আফিফ ২-০-১৫-০, মোসাদ্দেক ১-০-৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১০-০)
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১৫৪/৩ (লিটন ৭, নাঈম ২৬, সৌম্য ৩৯, মুশফিক ৬০*, মাহমুদউল্লাহ ১৫*; চাহার ৩-০-২৪-১, সুন্দর ৪-০-২৫-০, খলিল ৪-০-৩৭-১, চেহেল ৪-০-২৪-১ , পান্ডিয়া ৪-০-৩২-০, দুবে ০.৩-০-৯-০ )।
ম্যাচ সেরা: মুশফিকুর রহিম
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী




















