বিদ্যুতের অন্যান্য বিতরণ সংস্থাগুলোর পাশাপাশি এবার দেশের সবচেয়ে বড় বিতরণ প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতও চালু করেছে বিল পরিশোধের প্রি-পেইড পদ্ধতি। গেল মে মাস থেকে সাভারে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহককে দেয়া হচ্ছে এই সেবা।
কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, নতুন এসব মিটারে আগের চেয়ে বিল বেশি আসছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন- দেশের সব শহরে এ পদ্ধতির প্রচলন না হলে; গ্রামে সফল হবে না এই প্রয়াস। তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানিয়েছে- প্রি-পেইড ব্যবস্থার সফলতা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
দেশের প্রায় ২ কোটি গ্রাহকের মধ্যে এক কোটি ২৯ লাখেরও বেশি গ্রাহকের ঘরে আলো পৌঁছে দেয়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, সম্প্রতি উন্নত সেবা দিতে গ্রাহকপ্রান্তে চালু করেছে প্রি-পেইড মিটার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ‘ইউনিফাইড প্রি-পেইড মিটার’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় আড়াইহাজার গ্রাহকের ঘরে চার মাস আগে সংযোজন করা হয়েছে বিল পরিশোধের নতুন পদ্ধতির এই মিটার। যেখানে কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করছেন গ্রাহকরা।
এই মিটার ব্যবহারকারী অধিকাংশ গ্রাহক দাবি করছেন- এ পদ্ধতিতে আগের তুলনায় বাড়তি বিল গুনছেন তারা; আবার এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়াকেও দুষছেন কেউ-কেউ।
সাভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘আগের তুলনায় কমে এসেছে গ্রাহক অভিযোগ; আগামীতে এ ব্যাপারে গণসংযোগ আরও বাড়ানো হবে।’
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘এসব মিটারে উপকৃত হবেন গ্রাহকরা। ভোগান্তি কমাতে নির্দেশনা দেয়া হবে মাঠ পর্যায়েও।’
তবে, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা- এ পদ্ধতি এখনই খুব একটা কাজে আসবে না।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরও খানিকটা অপেক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’
শহরতলী থেকে শুরু করে গ্রামীণ জনপদে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব থাকা প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব অর্থায়নে চলতি বছরেই আরো ৫ হাজার প্রি-পেইড মিটার চালু করবে। তবে এ ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এর সফলতা হুমকি’র মুখে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
























