[english_date]

বরগুনা থেকে ঢাকা রুটে লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ,নিহত ৩

লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। বরগুনা থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা রাঙাবালিগামী আরেকটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা, মেয়ে ও ছেলে নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে বড় নদি মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকালে লঞ্চের আরও সাত যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

নিহতরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), তাঁর মেয়ে জান্নাতি (৭) ও ছেলে হিরণ (২২)। তাঁরা বরগুনার বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা এমভি কিং সম্রাট লঞ্চের যাত্রী ছিলেন।

 

লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রতীকী ছবি
লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রতীকী ছবি

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যাই, বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি কিং সম্রাট নামের লঞ্চটি গতকাল রাত পৌনে দুইটার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকা-সংলগ্ন মেঘনা নদীর মিয়ারচর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে রাঙাবালির উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি জাহিদ-৪ নামের একটি লঞ্চের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে এমভি কিং সম্রাট লঞ্চটির দোতলার ডেকে থাকা যাত্রী তাসলিমা বেগম ও তাঁর মেয়ে জান্নাতি ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন তাসলিমা বেগম এর ছেলে হিরণ। পরে আহত হিরণকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজ রোববার সকালে তিনি মারা যান।এ ছাড়া লঞ্চের আরও সাত যাত্রী আহত হন। তাঁদের ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

বরগুনা নৌ বন্দরের বন্দর কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘গত রাতে দুর্ঘটনার পর আমি বিষয়টি জেনেছি এবং বরগুনা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছি।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের নৌ ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক মো. আবুল বাশার জানান,‘এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি’

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ