প্রধান বিচারপতি বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি ও তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছেন, সে কথা আজ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক যৌথসভায় কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসম আলীর আপিলের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে কামরুল বলেন, আগামী ৮ তারিখ তাদের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি, যিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। তার লবিস্ট আন্তর্জাতিক বিশ্বে এই বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি কারাগারে থাকলেও তার অর্থ বাইরে সক্রিয়, তৎপর ও ষড়যন্ত্র করছে। আমরা অতীতে সব রায়ের সময় যেভাবে মাঠে ছিলাম, ৮ তারিখও তেমনি মাঠে থাকব।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এই বিচার সম্পর্কে কথা উঠছে। প্রসিকিউশন রাজনীতি করছে, এ কথা উঠছে। অর্থাৎ জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছে, সে কথাটা আজকে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন। প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশনকে এক কাতারে দাঁড় করানোর কথাও তিনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছেন। অথচ এই প্রসিকিউশন ২৩টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
কামরুল আরও বলেন, আমরা এত কিছু বুঝি না, আমরা প্রত্যাশিত রায় চাই। একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ বিচারপ্রার্থী হিসেবে আমি এই মামলারও বিচারপ্রার্থী। বিচারপ্রার্থীরা আজ হতাশ। এই বিচারের রায় কী হবে তাদের মনে একটা সন্দেহ আছে। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের সন্দেহ দূর হবে। আমরা প্রত্যাশিত রায় ৮ তারিখ পাব।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ৮ তারিখ মীর কাসেম আলীর রায় ঘোষণা হবে। আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি, তার সর্বোচ্চ সাজা দেখার জন্য। শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, যদি ওলট-পালট হয় তাহলে শহীদদের আত্মা তাদের ক্ষমা করবে না।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
























