পরপর দুইদিন সূচক বাড়ার পর বুধবার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। এতে কমে যায় সূচক, লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেনের শুরুতে উত্থান আর পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া দিনে ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট আর চট্টগ্রামের বাজারে সূচক কমেছে ১০৫ পয়েন্ট। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বিরাজমান অবস্থার কারণে ব্যক্তি, সাধারণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে তারা নতুন করে বিনিয়োগ না করে বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩২১টি কোম্পানির ১৪ কোটি ৮ লাখ ৮৭৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৯৭ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা কম। এদিন তিন সূচকে পথ চলা ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮০০ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক পয়েন্ট ৯ দশমিক ১৮ কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫
কোম্পানির শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৭১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৪৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে বুধবার ডিএসইতে শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো-বেক্সিমকো ফার্মা, ফার কেমিক্যাল, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম স্টিল, শাহাজিবাজার পাওয়ার ও বেক্সিমকো। দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড১, এমবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডিবিএইচ ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সু্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এক্সিম ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ও তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ।























