[english_date]

ইসরাইলে সেনা পাঠাবে কি না, স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র

চলমান সংঘাতে ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলকে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সহায়তা করলেও দেশটিতে কোনও মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ইসরাইলে সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই মার্কিন সরকারের। তবে সরকার ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে।

 

কিরবি আরও বলেন, ইসরাইল মার্কিন সরকারের কাছে নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যতদ্রুত সম্ভব এই অনুরোধ রক্ষা করার চেষ্টা করবে।

হামাসকে ইরানের সহায়তা প্রসঙ্গে কিরবি বলেন, হামাসের হামলায় ইরান জড়িত আছে কি না – এ নিয়ে বেশ জটিলতা আছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, ফাইটার জেট ও রণতরী পাঠাবে দেশটি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলকে সহায়তা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির কাছাকাছি একাধিক সামরিক জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠাবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, হামাসের সর্বশেষ হামলাটি ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ককে ব্যাহত করতে চালানো হয়েছে।

অস্টিন বলেন, ‘আমি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছি।’

ইসরাইলে মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার (৮ অক্টোবর) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।

হামাসের হামলার পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল হামাস ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, চলতি বছরের আগস্টে ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনা শুরু হয়। আর এতে পুরোপুরি সহায়তা করেছে ইরান।

তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের ইরান বিষয়ক মিশন বলেছে, সহানুভূতি থেকে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করা হয়েছে। হামাসের এ হামলার সঙ্গে জড়িত না ইরান। ফিলিস্তিন নিজেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ