[english_date]

আপনার মন্তব্যে বদলাবে গুগল

প্রযুক্তির ক্ষমতা অপার। বিশ্বের সর্বোচ্চ সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগল নাকি নির্বাচনের ফলাফলও বদলে দিতে পারে। অর্থাৎ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে সরাসরি ভাগ বসাতে পারে তারা। সোমবার এক গবেষণার পরে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন গবেষক এপস্টেইন। সূত্রের খবর, ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনের গোপন অ্যালগরিদমে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে।

এপস্টেইন জানিয়েছেন, তিনিসহ একদল গবেষক ভোট দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন এমন ভোটারদের আচরণ নিয়ে গবেষণা করেছেন। সার্চ রেজাল্টে ‘কলকাঠি নেড়ে’ একজন প্রার্থীর পক্ষপাতিত্ব করে বা বেশি পছন্দের তালিকায় নির্দিষ্ট কোনও প্রার্থীকে দেখিয়ে ওই ভোটারদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হন সার্চ জায়েন্টরা।

এপস্টেইনের গবেষণার ফলাফলের বিপরীতে এক গুগল মুখপাত্রের দাবি, তাদের অ্যালগরিদম ‘প্রাসঙ্গিক ফলাফল’ দেখানোর জন্য বানানো। অ্যালগোরিদমে কারচুপি করে একজন প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করলে তা গুগলের উপর ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসে আঘাত হানবে। তাই এই কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না।

গুগলের এমন জবাবকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন এপস্টেইন। “নির্বাচন সম্পর্কিত প্রশ্নে ‘প্রাসঙ্গিক উত্তর’ দেওয়ার বিষয়টি কিভাবে সার্চ র‌্যাংকিংয়ে কোনও প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কা দূর করে?”পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি গুগলের ক্ষমতার বাইরে নয় বলেই ইঙ্গিত করছে এপস্টেইনের গবেষণার ফলাফল। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা। ২০১২ সালের নির্বাচনে ৩.৯ শতাংশ বেশি ভোটে জিতেছিলেন ওবামা। এখন পর্যন্ত ২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যেও ব্যবধান বেশি নয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ